আবারও বেসুরো জয় ব্যানার্জি, তবে কি গেরুয়া শিবির ছেড়ে এবার তৃণমূলে!

তিনি বলেন, ‘‌পর্যবেক্ষক যদি একজন ভদ্র, শিক্ষিত লোক হলে এমন ফল হত না।'
জয় ব্যানার্জি
জয় ব্যানার্জিফাইল চিত্র
Published on

বিধানসভা নির্বাচনের পর উপনির্বাচনেও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। দল ছাড়ার হিড়িক তো পড়েই ছিল, এবার ফের আরও এক বিজেপি নেতা বেসুরো হলেন। নিজের দলের বিরুদ্ধেই আক্রমণ শানালেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগে তৃণমূল নেত্রীর জয়ের মার্জিন নিয়ে বলেছিলেন, ‘‌৫০ হাজার ভোটে জিতবেন মমতা’‌। স্বাভাবিক ভাবেই গেরুয়া শিবির তা ভালোভাবে নেয়নি।

তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপির সর্ব-ভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌বাড়িতে বসে বড় বড় কথা না বলে মাঠে নামুন।' সম্ভবত পদমর্যাদায় বড় দলীয় নেতার কথা রাখতেই কার্যত ঘরে বসেই ‘‌মাঠে’‌ নেমে পড়লেন জয়। ভবানীপুরের ফলাফল প্রকাশের পর একটি দৈনিকের ডিজিটাল মাধ্যমে তিনি জানান, ‘আগে ৩ বার বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়া একজনকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী না করে ভদ্র, সভ্য কোনও বাঙালি অধ্যাপককে এখানে প্রার্থী করা উচিত ছিল বিজেপির’।'

প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনে এন্টালি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হন পেশায় আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। ভবানীপুরে উপনির্বাচনে তিনিই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকিট পান। তাঁর প্রার্থী পদ নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন জয়। এই কেন্দ্রে অবাঙালি প্রার্থী দেওয়াটা বিজেপির ভুল বলে তিনি বরাবর মত প্রকাশ করে এসেছেন।

একই সঙ্গে নাম না করেও অর্জুন সিং ও শিশির বাজোরিয়াকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘‌পর্যবেক্ষক যদি একজন ভদ্র, শিক্ষিত লোক হলে এমন ফল হত না।' এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘এখন তো বিজেপি কোর্টে আর কমিশনে ভোট লড়ে। নির্বাচন কমিশনের জন্য একজন অবাঙালি লোক নিযুক্ত আছেন। তাঁর সাদা দাড়ি, সাদা গোঁফ, সাদা চুল। বাঙালিয়ানা কিছু জানেন বলে মনে হয় না’‌।

একসময় তৃণমূলের মঞ্চেই নিয়মিত দেখা যেত জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরে বিজেপিতে যোগ দেন। একাধিকবার ভোটে দাঁড়িয়েও হেরে যান। আবার কি তিনি তৃণমূলে আসছেন? অভিনেতার কথায় জল্পনা শুরু হয়েছে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in