বিচারপতির অনুপস্থিতিতে দিল্লি হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের শুনানি। বিচারপতি দীনেশকুমার শর্মা সোমবার আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি কবে তা এখনও জানা যায়নি।
গোরু পাচারকাণ্ডে কিছুটা স্বস্তিতে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এখনই দিল্লি যেতে হচ্ছে না তাঁকে। ফলে আপাতত আসানসোল জেলেই থাকবেন তিনি। গোরু পাচারকাণ্ডে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি। ইডির এই আবেদন মঞ্জুর করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে যান অনুব্রত মণ্ডল। এই মামলার এখনও পর্যন্ত শুনানি হয়নি। বিভিন্ন কারণে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ইডির আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। অনুব্রতকে দিল্লিতে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে আগেই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট চেয়েছিল ইডি। শুনানির কিছুদিন পর রায় ঘোষণা হয়েছিল।
তবে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের ওই রায়ের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই দলীয় কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে অনুব্রতর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় তাঁকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল দুবরাজপুর কোর্ট। ফলে সেই সময় ব্যাহত হয় অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা।
শিবঠাকুর মণ্ডল নামের এক তৃণমূল নেতা অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন অনুব্রত। এমনকি তাঁকে খুনেরও চেষ্টা চালান বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি। অনাস্থার অভিযোগ তুলে বলপূর্বক তাঁকে পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেন অনুব্রত। কিন্তু ছ’মাসের মধ্যে ফের পঞ্চায়েত প্রধান হন শিবঠাকুর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন