রোগী মৃত্যুর জেরে পুলিশের সামনেই আক্রান্ত চিকিৎসকরা! সাগর দত্তে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি

People's Reporter: জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, রোগীর পরিবারের পুরুষ সদস্যরা হাসপাতালে ঢুকে মহিলা চিকিৎসকদের গায়ে হাত দিয়েছেন। আরজি কর করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতের দৃশ্য
শুক্রবার রাতের দৃশ্যছবি - সংগৃহীত
Published on

ফের হাসপাতালের মধ্যে আক্রান্ত চিকিৎসক ও নার্স। এবার ঘটনাস্থল সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ। যার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন ওই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। নার্সরাও এই কর্মবিরতিতে শামিল হয়েছেন। জরুরি পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে বলে খবর।

আরজি কর কাণ্ডের আবহেই ফের প্রশ্নের মুখে চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শুক্রবার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই রোগীর পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসক ও নার্সদের উপর হামলা চালান। যার সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ১৫-২০ জন ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে হামলা চালাচ্ছেন।

তার প্রতিবাদে গতকাল রাত থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসেছেন তাঁরা। হাসপাতালের এমএসভিপি সুজয় মিস্ত্রির ঘরের সামনেও বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র চিকিৎসক ও নার্সরা।

জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, রোগীর পরিবারের পুরুষ সদস্যরা হাসপাতালে ঢুকে মহিলা চিকিৎসকদের গায়ে হাত দিয়েছেন। আরজি কর করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত না আমাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে ততদিন এই কর্মবিরতি চলবে।

আন্দোলনকারী এক নার্স বলেন, “আমরা চাকরি করতে এসেছি মানে এই নয় আমরা সাধারণ মানুষের হাতে মার খেতে এসেছি। আমরা মানুষকে পরিষেবা দিতে এসেছি। কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?”

জানা যায় হামলার জেরে ৩ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক, ৩ জন পিজিটি, ১ জন নার্স, ১ হাউস স্টাফ ও একজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে কামারহাটি থানার পুলিশ।

অন্যদিকে চিকিৎসার গাফিলতির কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। মৃতের মা জানান, কোনও ওষুধই দেওয়া হয়নি আমার মেয়েকে। চিকিৎসা না পেয়েই মৃত্যু হয়েছে। অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এই জুনিয়র চিকিৎসকরা নিয়ে যেতে দেয়নি।

উল্লেখ্য, গত ৫ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা রঞ্জনা সাউ। তাঁকে সাগর দত্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। যদিও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন টেস্ট করা হচ্ছিল তার মধ্যেই রোগীর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল।

সুজয় মিস্ত্রি জানিয়েছেন, ''সব রোগী অমর হবেন, এটা ভাবা খুব অন্যায়। এখানে যাঁরা আছেন, তাঁরা ডাক্তার এবং নার্সিং স্টাফ। তাঁরাও মানুষ।"

শুক্রবার রাতের দৃশ্য
পুজোর আগেই ১২,০০০ পুলিশ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি! ডিউটি-ট্রেনিং একসাথে হবে - ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in