কল্যাণী এইমস (AIIMS) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পুনরায় বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানাকে তলব করল রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ভবানী ভবনে হাজিরা দেওয়ার জন্য তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত ৫ আগস্ট তাঁকে তলব করেছিল সিআইডি।
সিআইডি সূত্র মোতাবেক জানা গেছে, চাকরি পাওয়ার জন্য কাট অফ নম্বর ছিল না নীলাদ্রী কন্যা মৈত্রী দানার। তা সত্ত্বেও নিজের প্রভাব খাটিয়ে বিজেপি বিধায়ক তাঁর মেয়েকে বেআইনিভাবে কল্যাণী এইমসে চাকরি পাইয়ে দেন। এমনকি, মেয়ের চাকরি নিশ্চিত করতে তিনি কল্যাণী এইমসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সাথে দেখাও করেছিলেন। সিআইডি-কে এই কথা জানিয়েছেন এইমস কর্তৃপক্ষ।
শুধু তাই নয়, যে বেসরকারি সংস্থা মারফত বিধায়ক কন্যার নিয়োগ হয়েছিল তাঁরা জানান, কল্যাণী এইমস থেকেই মৈত্রীর চাকরির সুপারিশ পত্র তাঁদের কাছে এসেছিল। বস্তুত, কল্যাণী এইমস কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ।
এর আগে কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নীলাদ্রিশেখর দানার বাড়িতে নোটিশ পাঠিয়েছিল সিআইডি। টানা ২ ঘণ্টার জেরায় তাঁকে যে যে প্রশ্নগুলি করা হয় :-
১) কাট অফ নম্বর না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে চাকরি পেল মৈত্রী?
২) নিয়োগের সময় কী কী নথি জমা দিয়েছিলেন মৈত্রী?
৩) কোন পদ্ধতিতে এই চাকরি হয়েছে?
৪) কত টাকা বেতন দেওয়া হত তাঁকে?
পূর্বে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে বিধায়ক কন্যাকে তলব করেছিল সিআইডি। অভিযোগ অস্বীকার করে মৈত্রী দাবি করেন, তিনি বাবার সুপারিশ ছাড়াই চাকরি পেয়েছিলেন। তবে, তাঁর বয়ানে একাধিক অসংগতি মিলেছে বলে দাবি গোয়েন্দা আধিকারিকদের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এইমসে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে একাধিক বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের। জানা যাচ্ছে, প্রভাব খাটিয়ে চাকরী দেওয়ার অভিযোগে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন - কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার, রাণাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ এবং বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা সহ ৮ জন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন