সিপিআই(এম)-র ঘর ভাঙলো তৃণমূল। কামারহাটির সিপিআই(এম) কাউন্সিলর আফজল খান যোগ দিলেন জোড়াফুল শিবিরে। মদন মিত্রের হাত ধরেই দলবদল করলেন আফজল।
এতদিন খবরের শিরোনামে আসছিল বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান। কিন্তু তার কিছুটা ব্যাতিক্রম ঘটালেন কামারহাটি পুরসভার একমাত্র সিপিআই(এম) কাউন্সিলর আফজল খান। বুধবার মদন মিত্রের উপস্থিতিতে কাস্তে-হাতুড়ি ছেড়ে ঘাসফুলের পতাকা তুলে নিলেন তিনি।
কামারহাটির ৩৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূলের পক্ষে যায় ৩২ টি ওয়ার্ড। আর একমাত্র ৫ নম্বর ওয়ার্ড জেতেন বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী আফজল। সম্প্রতি রাজ্যে ধীরে ধীরে বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ন হচ্ছে সিপিআই(এম), সেখানে হঠাৎ কাউন্সিলরের দলবদল কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
সম্প্রতি অভিষেক ব্যানার্জী এক জনসভা থেকে বলেন এখনই গদ্দারদের তৃণমূলে নেওয়া হবে না। কিন্তু সিপিআইএম নেতাকে যোগদান করানো নিয়ে মদন মিত্র বলেন, 'অভিষেক ব্যানার্জী বলেছেন ব্যারাকপুর, ভাটপাড়া, কামারহাটি সব জায়গা থেকে তৃণমূলে যোগদান হলেও মেদিনীপুর থেকে কাউকে যোগদান করানো হবে না। তবে আফজলকে দলে নেওয়ার জন্য উত্তর ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূলের সভাপতি থেকে শুরু করে যুব সভাপতি সকলে অনুমতি দিয়েছেন, তাই আফজলকে দলে নেওয়া হল।' পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অভিষেক ব্যানার্জী বলেছিলেন দরজা বন্ধ। এখনও দরজা বন্ধই আছে। কিন্তু দরজা বন্ধ থাকলেও ব্যতিক্রম সবসময়ই থাকবে।'
দলবদল প্রসঙ্গে আফজল খান বলেন, “বিগত ১১ বছরে মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেই উন্নয়নের ধারায় আমাদের বিধায়ক মদন মিত্র, চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, তুষার চ্যাটার্জী আর আরও অনেকের সাথে মিলে সাথী হওয়ার চেষ্টা করেছি। মমতা ব্যানার্জীর একটা ছোট সৈনিক হিসাবে সেই উন্নয়নকে আরও আগে কীভাবে নিয়ে যাওয়া যায় তার চেষ্টা করব।” যদিও এই প্রসঙ্গে আপাতত কোনো সিপিআই(এম) নেতার প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন