আজ চারদিন হচ্ছে কুড়মি আন্দোলন চলছে। কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিজেদের দাবি আদায়ে অনড়। যতক্ষণ না সরকার তাঁদের দাবি মেনে নিচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত পিছু হটবেন না তাঁরা।
শুক্রবারেও খেমাশুলি স্টেশনের চেহারা বদলায়নি। কুড়মিরা ‘রেল রোকো’ কর্মসূচি চালিয়েই যাচ্ছেন। চতুর্থদিনে এসে যেন আন্দোলনের মেজাজ আরও তীব্র হয়েছে। তাঁরা বাড়ি থেকে বাসনপত্র, ওভেন, শাকসবজি, পানীয় জল সবকিছু নিয়ে এসেছেন আন্দোলন করার জন্য। আজ ধামসা-মাদল বাজিয়ে রীতিমতো উৎসবের মেজাজে নিজেদের অধিকার অর্জনের পথ বেছে নিলেন তাঁরা।
গতকাল থেকে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলিতে নতুন করে রেল অবরোধ শুরু হয়েছে। স্টেশনের বাইরের রাস্তাও বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পণ্যবাহী লরি লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এক আন্দোলনকারী বলেন, আমাদের এই আন্দোলন চলতেই থাকবে। রাজ্য সরকার বা কেন্দ্র সরকারকে কুড়মিদের দাবি পূরণ করতেই হবে। এর আগেও আমরা রেল অবরোধ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রলোভন দেখিয়ে আন্দোলন ভেঙে দেওয়া হয়। এবার সেটা হবে না। আমাদের অধিকার আমারা অর্জন করবোই।
তাঁদের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৬ টা থেকেই রেল অবরোধ শুরু করেছিলেন তাঁরা। খেমাশুলি স্টেশনে তাঁরা অবরোধ শুরু করেন। যার জেরে খড়গপুর শাখায় ব্যাহত হয় রেল চলাচল। চরম ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। ঐ স্টেশনের পার্শ্ববর্তী ৬ নম্বর জাতীয় সড়কও অবরোধ করা হয়। রেল অবরোধের ফলে তৃতীয় দিনে ১১১টি ট্রেন বাতিল হয়েছে।
এর আগে কুড়মি সম্প্রদায়ের রাজ্য সম্পাদক রাজেশ মাহাতো বলেছিলেন, কুড়মিদের মর্যাদা ও উপজাতির তালিকাভুক্ত করার জন্যই এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া অষ্টম তফশিলে কুড়মালি ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন