স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানালেন পশ্চিমবঙ্গের আইনজীবীরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন অন্যায় ভাবে আটকে রাখার পর গত ৫ জুলাই স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু হয় বিচারাধীন অবস্থায়। বিজেপি ও আরএসএসের নিষ্ঠুর পরিকল্পনাতে এই ঘটনা ঘটে বলে বিরোধীরা আগে সোচ্চার হয়েছিল। এই ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় মদতে হত্যাকাণ্ড বলে চিহ্নিত করছেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার লেনিন মূর্তির সামনে অল ইন্ডিয়া ল'ইয়ার্স ইউনিয়নের ডাকে প্রতিবাদ সভায় স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি ইউএপিএ (UAPA) আইন বন্দি সব অভিযুক্তের মুক্তির দাবি জানানো হয়। এই আইনের বলে গণতন্ত্রপ্রিয়, স্বাধীনচেতা, প্রতিবাদীদের বন্দি করে রাখা হচ্ছে বলে আইনজীবীদের অভিযোগ।
ইউনিয়নের সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, 'কেন্দ্রে মোদি সরকার মানুষের গণতন্ত্র হরণ করার চেষ্টা করছে। তাতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্ট্যান স্বামী। তাই তাঁকে ষড়যন্ত্রের জালে ফাঁসানো হয়েছিল। ভীমা কোরেগাঁও -এর মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছিল। কোনো চার্জ গঠন না করেই আটকে রাখা হয় তাঁকে। কারাগারে ক্রমাগত মানসিক নির্যাতনে স্ট্যান স্বামী ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ধরনের ঘটনা কেন্দ্রের স্বেচ্ছাচারিতার লক্ষণ।'
ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, 'শুধু স্ট্যান স্বামীই নন, যাঁরাই কেন্দ্রীয় সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তাঁদেরকেই ইউএপিএ আইনে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বন্দি অবস্থায় অনেকেরই শরীর খারাপ হচ্ছে। ভীমা কোরেগাঁও মামলায় স্ট্যান স্বামীর পাশাপাশি ভারাভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজ-সহ একাধিক সমাজকর্মী ও মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এঁদের সকলের মুক্তির দাবিতে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন