শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে জর্জরিত তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। আর এর মধ্যেই ঝাড়গ্রামের সভা থেকে বাম আমলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে দাবি করে মুখ খুললেন তৃণমূল দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জী। টেনে আনেন 'চিরকুট' প্রসঙ্গ। যার তীব্র সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, “৩৪ বছরে, সিপিআইএম আমলে চিরকুট দিয়ে চাকরি পাওয়া যেত। বদলি হত। সিপিআইএমের ৩৪ বছরে অনেক খোঁজ নিয়েছি। আস্তে আস্তে চ্যাপ্টার ওপেন করব। এতদিন ভদ্রতার খাতিরে কিছু করিনি”। ঐ সভাতেই তাঁকে বলতে শোনা গেছে, “সিপিআইএম কাউকে কোথাও যেতে দিত না। আগে জঙ্গলমহলের মানুষ ৯ মাস ভাত খেতে পেত না। ঝাড়গ্রামের মানুষ পিঁপড়ে খেয়ে থাকত”।
আর এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর তীব্র সমালোচনা করেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এক সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, 'এর আগেও মমতা ব্যানার্জী জনগণের করের টাকায় অনেক কমিশন গঠন করেছিলেন কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি'। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে 'চিরকুট খুঁজে বের করার' চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সিপিআই(এম)-র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এর আগেও করেছেন মমতা ব্যানার্জী, তবে তাতে বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেনি তৃণমূল।
সম্প্রতি, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অফিসে হাজিরা দেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আবার অন্যদিকে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে আদালত সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিলেও তিনি হাজিরা দেননি। শোনা যাচ্ছে তাঁর নাকি খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আর তাঁকে খুঁজতেই বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI) রাস্তায় মন্ত্রীর ছবি ও হাতে টর্চ লাইট নিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন