জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত ৬ টি পরিবারের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দিল সিপিআইএম। বুধবার সিপিআইএমের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা কমিটির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের থেকে সংগৃহীত অর্থতে ৬ টি পরিবারের হাতে ১৬ টি সেলাই মেশিন তুলে দিলেন বাম নেতারা।
প্রসঙ্গত, ওই ৬টি পরিবার সেলাই মেশিন চালিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু দলুয়াখালি গ্রামে দুষ্কৃতি হামলার পর জীবিকা হারান তাঁরা। ক্ষতিগ্রস্ত জামালুদ্দিন লস্কর, আব্দুল হামিদ লস্কর, মাজেদা লস্কর, আমিরউদ্দিন লস্কর, হালিম লস্কর, আলাউদ্দিন লস্করের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেন বাম নেতার।
এদিন উপস্থিত ছিলেন, সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা সম্পাদক রতন বাগচী, প্রভাত চৌধুরী, দেবাশিষ ডে সহ ৫ জনের এক প্রতিনিধি দল।
সেলাই মেশিন পেয়ে খুশি ওই দর্জি পরিবারগুলি। তাঁদের কথায়, সিপিআইএম ও বিভিন্ন গণসংগঠন প্রথম দিন থেকেই পাশে দাঁড়িয়েছে, সাহায্য করেছে। তাঁদের দাবি, ঘটনার পর সিপিআইএম পাশে না দাঁড়ালে, তাঁরা অনাহারে মরে যেতেন। ওই ঘটনার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে দলুয়াখাকি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে খুন হন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সাইফুদ্দিন লস্কর। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিআইএম আশ্রিত দুষ্কৃতিরা খুন করেছে সাইফুদ্দিনকে। তারপরই ঘটনাস্থল থেকে ৫ কিমি দূরে অবস্থিত দলুয়াখাকি গ্রামে বেছে বেছে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। বাচ্চাদের সাইকেল থেকে শুরু করে বাড়ির আলমারি, গোয়ালঘর সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আক্রান্ত এক সিপিআইএম সমর্থক জানিয়েছিলেন, পুলিশের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূলের লোকেরা। সকালে পুলিশ এসেছিল গ্রামে। সেই সময়ই ৩০০-৪০০ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা এসে মারধর শুরু করে এবং বাড়ির ভিতর রড, শাবল, লাঠি দিয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। টাকা পয়সা সব লুঠ করে নিয়ে যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন