ফের একবার বামেদের কাছে পরাস্ত হলো তৃণমূল কংগ্রেস। এবার নদীয়ার ধুবী নাগাদি সমবায় সমিতির নির্বাচনে ৩১-২৭ ব্যবধানে তৃণমূলকে পরাজিত করলো বামেরা। এই নিয়ে নদীয়া জেলাতে একাধিক সমবায় জিতল বামেরা। এই নির্বাচনে খাতা খুলতেই পারেনি বিজেপি।
নদীয়ার তেহট্ট, পলাশীপাড়া, পর নাকাশিপাড়ার ধুবী নাগাদি কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতিতেও হারের মুখ দেখতে হলো তৃণমূলকে। রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপি খাতাই খুলতে পারল না। এই সমবায় সমিতির মোট আসন সংখ্যা ছিল ৫৮ টি। ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৫০০।
ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় ৩১-২৭ ব্যবধানে জয়ী হয়েছে বামেরা। এই ফল দেখেই উচ্ছ্বসিত হয় বাম প্রার্থীরা। তাঁরা বলেন, জয় প্রত্যাশিত ছিল। যেভাবে রাজ্যে তৃণমূলের দুর্নীতি ধরা পড়ছে তাতে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের দিক থেকে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও যদি শান্তিপূর্ণ ভোট হয় তাহলে তৃণমূল পরাজিত হবে। যদিও তৃণমূলের দাবি, আগে থেকেই সিপিআইএম ভোটার ঠিক করে রেখেছিল।
উল্লেখ্য, রবিবার নাগাদি ওবায়দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এই নির্বাচন হয়েছিল। সবক'টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল ও বামেরা। সন্ধ্যা থেকে গণনা শুরু হয়। গণনা যত এগোতে থাকে ততই পাল্লা ভারী হয় বামেদের। অবশেষে জয়ী হয় বামেরা। এরপর এলাকায় আবির মেখে বিজয় উৎসব করেন বাম সমর্থিত প্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই নদীয়ার পলাশীপাড়ার ধৌপট্ট কুষ্টিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ৬৯টি আসনের মধ্যে সিপিআইএম সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করে ৪৯টি আসনে এবং তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করে ২০টি আসনে। একটি আসনেও প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে তেহট্টের চাঁদেরঘাট সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪৯টি আসনে জয়ী হয়েছিল বামেরা। আবার গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই তেহট্টেই অন্য একটি কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন হয়েছিল। ওই সমবায়ের মোট ভোটার ছিল ১৭৯৯ জন। মোট ৭২ আসনের মধ্যে সিপিআইএম পায় ৬৭টি আসন এবং তৃণমূলের ঝুলিতে যায় মাত্র ৫টি আসন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন