সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বলে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন শিলিগুড়ির সিপিআই(এম) নেতা অশোক ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার, শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল সিপিআই(এম)। সেখানে অশোক ভট্টাচার্য স্পষ্টভাবে জানান, "যদি আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থেকেই থাকে, তাহলে এতদিন তাঁরা চুপ ছিল কেন? আসলে নিজেদের চুরি আড়াল করতে পুরোপুরি রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই মিথ্যে অভিযোগ রটাচ্ছে তৃণমূলের নেতারা। এই অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসুরা অভিযোগ করেন, বিরোধীরা একতরফাভাবে তৃণমূলকে বদনামের চেষ্টা করছে। সেই বৈঠকেই ব্রাত্য বসু বিরোধী দলের নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। এই তালিকায় সিপিআই(এম) নেতা অশোক ভট্টাচার্যের নাম আছে বলেও দাবি করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
এই বক্তব্যের বিরোধীতা করে অশোক ভট্টাচার্য জানান, "মানুষকে বিভ্রান্ত করতে অযৌক্তিক, তথ্যবিহীন কথা রটাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন বেআইনি লেনদেনে অভিযুক্তরাই। তাঁরা আবার ওই দলের মন্ত্রী, বিধায়কও বটে। ২০১৭ সালে যদি কোনও মামলা হয়েই থাকে, তবে গত চার বছরে আমি কোনও মামলা সংক্রান্ত কাগজ হাতে পাইনি কেন?"
তিনি আরও জানান, সম্পত্তির বিষয়ে জমা দেওয়া এফিডেভিটে স্পষ্টভাবে বলাই আছে যে, পৈতৃক ভিটাতেই আমি থাকি। কলকাতার মানিকতলায় সরকারি গভর্মেন্ট হাউজিং এস্টেটে ৭০ বছরের পুরনো বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলাম। সেই ভাড়া আজও আছে। তার টাকা এখনও দিতে হয়। সাবলিজে সেটাকে হ্যান্ডওভার করা হয়েছে। পৈতৃক বাড়ি ও কলকাতার ভাড়া করা বাড়ি ছাড়া ভূ-ভারতে আমার কোনও সম্পত্তি নেই। আমি পেনশন পাই। এছাড়া, এমএলএ পেনশন এবং প্রয়াত স্ত্রীর ফ্যামিলি পেনশন এটাই আমার রোজগার।
এরপরই তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে অশোক বাবু জানান, যে ১৯ জনের নামে মামলা হল, তাঁদের তো দায়িত্ব ইডি-র সাথে সহযোগিতা করে তাঁদের সম্পত্তি কোথা থেকে এল তা সুস্পষ্ট করে জানানো। সেটা না করে অভিযুক্তরা নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে চাইছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন