খোঁজ মিলছে না হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। বুধবার এমনই পোস্টার পড়ল পাণ্ডুয়া, বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত অফিস ও তেলিপাড়া মোড়-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। পোস্টারে লেখা, নিখোঁজ সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সন্ধান চাই। পোস্টারের নীচে কারওর নাম নেই। তাই কারা পোস্টার লাগিয়েছে, তা জানা যায়নি।
তৃণমূলের পান্ডুয়া ব্লক সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, সাংসদকে বহুদিন হুগলি জেলায় দেখা যায়নি। পাণ্ডুয়ার মানুষ তাঁকে খুঁজছেন।' তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'করোনা, আমফানে তাঁকে পাওয়া যায়নি। পাণ্ডুয়ার জনগণ এই পোস্টার লাগাতে পারেন। তাঁরা সাংসদকে দেখতে চান।' বিজেপির লোকেরাও তাঁকে দেখতে পাচ্ছেন না বলে দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার সিঙ্গুরে বিজেপি কিষান মোর্চার ধর্নায় ছিলেন না লকেট চট্টোপাধ্যায়। তা নিয়েও তৃণমূল কর্মীরা বিজেপিতে ফের উইকেট পড়ছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। লকেট চট্টোপাধ্যায় এপ্রসঙ্গে বলেন, 'বর্তমানে উত্তরাখণ্ডে রয়েছি। কোনও নির্বাচনে দলের তরফে আরও বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়। দল জানে আমি দলের কাজেই উত্তরাখণ্ডে এসেছি।' তিনি স্পষ্ট জানালেন, দলের দায়িত্ব পালন করা কর্তব্য। এটা তৃণমূলের ষড়যন্ত্র বলে নিশানা করেন তিনি।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে সাংসদের নামে কুৎসা করছে। তিনি শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়েছেন। তাঁকে দল উত্তরাখণ্ডের দায়িত্ব দিয়েছেন। তৃণমূলই এসব রটাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তৃনমূলের রত্না দে নাগকে পরাজিত করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাণ্ডুয়া হল হুগলি লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে একটি। অন্যদিকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে চুঁচুড়া থেকে লড়াই করে তৃনমূলের অসিত মজুমদারের কাছে পরাজিত হন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন