গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহু তাবড় নেতাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। ফের তাঁদের নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি নাম না করে ডোমজুড়ে প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব গান্ধীকে কটাক্ষ করেন তিনি।
প্রয়াত তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ আকবর আলি খন্দকারের ৬৫তম জন্মদিবসের আয়োজন হয় শেওড়াফুলিতে। সেই অনুষ্ঠানে এসে যোগ দিয়ে শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেন, ‘বিধানসভা ভোটের সময় ওঁদের হুঁশিয়ার করেছিলাম, বিড়ালগুলোকে বাঘ ভেবে নিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনের পর দেখবেন ওগুলো ইঁদুর হয়ে গর্ত খুঁজবে। আর আমার কথাই সত্যিই হয়েছে।'
কটাক্ষ করে বলেন, 'এখন সবাই ফিরে এসেছে। আর গর্ত খুঁজছে। বলছে, আমায় একটু জায়গা দাও গো, মায়ের মন্দিরে বসি।’ রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফিরে আসা নিয়ে সরাসরি বিরোধিতাও করেছিলেন কল্যাণ। সম্প্রতি ডোমজুড়ে রাজীবকে ঘিরে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। কল্যাণ সেদিন বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘তবু ভাল কালো পতাকা দেখিয়েছে। এরপর এলে আরও অন্যরকম কিছুও হতে পারে।’
গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর প্রথমেই দলে ফেরেন মুকুল রায়। তিনি গত ২০১৭ সালে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন। তৃণমূলের যে তাবড় নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী বাদে প্রায় সবাই একে একে দলে ফিরেছেন। শুভেন্দু এখন বিধানসভা বিরোধী দলনেতা।
যে নেতারা নির্বাচনের আগে দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না বলেই ঘাসফুল শিবির ছেড়েছিলেন, দলের নানা সমালোচনা করেন, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও অনেকে কটূ কথা শোনান। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর সেই তাঁরাই দলে দলে গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিচ্ছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন