বৃহস্পতিবার নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে রাজ্যে কর্মসংস্থান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আরও কর্মসংস্থান বাড়ানোর কথা বললেও যা খুশি চাইলেই তা তিনি করবেন না, সেকথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্র ভবনে হওয়া প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে জেলা প্রশাসনকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'অনেক কাজ বাংলায় চলছে। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। আর কেউ নতুন কিছু চাইবেন না। সরকারের যা টাকা ছিল, সব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর টাকা নেই।'
এদিন রাজ্যের ব্যবসায়িক সংগঠন এবং প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করে কর্মসংস্থান বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, শুধু মেয়েদের নয় ছেলেদেরও সেল্ফ হেল্প গ্রুপ তৈরি করা হোক অতিসত্বর। 'কর্মতীর্থ', 'পথের সাথী' এবং বিভিন্ন সেল্ফ হেল্প গ্রুপের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে নতুন কর্মের সৃষ্টি হোক।
সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং পরিষেবা দিতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের সাথে বিডিও এবং এসডিওকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার কথা বলেছেন তিনি। আগামী দু'মাসের মধ্যেই জেলার সমস্ত পৌরসভায় নির্বাচন করা হবে বলে তিনি জানান। বিভিন্ন থানার ওসি আইসিদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করে কাজ করার কথা বলেছেন তিনি।
এদিনের অনুষ্ঠানে কল্যাণী ও হরিণঘাটায় ৩১৩ কোটি টাকার পানীয় জল প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে সকলের বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবে পিএইচই। বৈঠকের শুরুতেই জেলার স্বাস্থ্য পরিস্থিতির খবরাখবর নেন তিনি। জেলাশাসককে জিজ্ঞাসা করেন, ডেঙ্গি, কোভিড সমস্ত পরিস্থিতি ঠিক আছে কিনা। বলেন, 'ওমিক্রন ছড়াচ্ছে। যাতে ওমিক্রন বা থার্ড ওয়েভ কোনওভাবে না আসে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এলেও কী ভাবে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সেটা ঠিক করতে হবে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন