“মহুয়া ফের মানুষের ভোটে জিতবে”, মমতার কথাতেই স্পষ্ট, আসন্ন লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর থেকে ফের তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বৃহস্পতিবার নদীয়ার শান্তিপুরে ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভা। সেখান থেকেই কার্যত আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন মহুয়াই এবার লোকসভার প্রার্থী হচ্ছেন কৃষ্ণনগরের।
বৃহস্পতিবার নদিয়ার শান্তিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি ছিল। সেখানেই মমতা বলেন, ‘‘মহুয়াকে ওরা তাড়িয়েছে! কেন? কারণ, মহুয়া মানুষের কথা বলেছিল। তোমরা মহুয়াকে তাড়িয়ে দিতে পারো। কিন্তু মানুষের ভোটে মহুয়া আবার জিতবে।’’
এর আগেও একাধিকবার মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন দলনেত্রী মমতা। ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়, সেদিন কার্শিয়ং থেকে বিজেপির কড়া সমালোচনা করে মমতা বলেছিলেন, ‘‘দল মহুয়ার পাশে আছে। এই ঘটনা থেকে বিজেপির প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আরও এক বার প্রমাণিত হল। মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কিছু বলার সুযোগই দেওয়া হল না। আমি এর তীব্র বিরোধিতা করছি।’’ সেই দিনই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, মহুয়াই কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের টিকিট পাবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ করার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। অভিযোগ ছিল, তিনি দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে ‘ঘুষ’ নিয়ে সংসদে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চাপে ফেলার জন্য এমনটা তিনি করেছিলেন বলে অভিযোগ।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লোকসভার স্পীকার এথিক্স কমিটিকে তদন্তভার দিয়েছিলেন। কমিটি রিপোর্ট পেশ করে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ জানিয়েছিল। তার ভিত্তিতেই মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়। এরপর তাঁকে নয়াদিল্লির সরকারি বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সম্প্রতি দীর্ঘ টালবাহানার পর সরকারি বাংলো ছাড়েন মহুয়া।
তবে এই ঘটনায় প্রথম থেকেই দলকে পাশে পায়নি মহুয়া মৈত্র। বলা হয়েছিল, এটা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবেই লড়াই করতে হবে। তবে শেষমেশ নভেম্বর মাসে নেতাজি ইনডোরে দলীয় কর্মসূচিতে মমতা সরাসরি মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খোলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন