গ্রেফতারীর আশঙ্কায় ১১ দিন ধরে কার্যত 'গৃহবন্দি' শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম

শিক্ষিকাদের বিষপানের ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ মইদুলকে গ্রেফতার করতে গেলে রাতভর বচসা চলে দু’‌পক্ষের মধ্যে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
মইদুল ইসলাম
মইদুল ইসলামনিজস্ব চিত্র
Published on

শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম কেন গত ১১ দিন ধরে গৃহবন্দি? প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এই ইস্যুতে বদলির বিরুদ্ধে পাঁচ শিক্ষিকার বিষপানের ঘটনা ফের মনে করিয়ে দিল। ওই পাঁচজনের মধ্যে এক শিক্ষিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন ঠিকই আছে। ওই ঘটনায় শিক্ষিকাদের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সংগঠনের ওই নেতার বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়। কিন্তু তারপর থেকেই তিনি গৃহবন্দি।

শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বদলি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিল। তাঁদের প্রতিবাদের কারণ, পঞ্চাশোর্ধ অনেককেই দূরে বদলি করা হয়েছে। রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন সংগঠনের সদস্যরা। এই ইস্যুতে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। ১ সেপ্টেম্বর রাজভবনে যান তাঁরা। এবার তা নিয়ে শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল। শিক্ষক বদলির বিষয়ে রাজ্য কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।

গৃহবন্দি থাকার বিষয়ে কী বলছেন মইদুল? বলেন, ‘‌বাড়ির বাইরে দিন–রাত পুলিশ আর আইবি ঘুরছে। বাড়ির বাইরে গেলেই গ্রেফতার করা হতে পারে। তাই আদালতে আবেদন করে আমি আগাম জামিন নিতে পারছি না। এটা আমার শ্বশুর বাড়ি। বৃদ্ধ শ্বশুর–শাশুড়ি, স্ত্রী, দুই শ্যালক আর আমার ২ বছরের ছেলে আছে। সবাই আতঙ্কে ভুগছি।’‌

প্রসঙ্গত, শিক্ষিকাদের বিষপানের ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মইদুলকে গ্রেফতার করতে গেলে রাতভর বচসা চলে দু’‌পক্ষের মধ্যে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে সাময়িক সমস্যা মেটে। কিন্তু বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in