'দিদির দূত'-র উদ্দেশ্যে নয়া প্রতিবাদ মালদহে। মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁসিপারাতে একাধিক বাড়ির দেওয়ালে লেখা হয়েছে নেতা-মন্ত্রীর প্রবেশ নিষেধ এই পাড়ায়। বহুবার রাস্তার দাবি জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা।
দিদির দূতদের ঘিরে বিক্ষোভ নতুন নয়। কর্মসূচির শুরু থেকেই প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দিদির দূত রুপে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের দেখতে পেলেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। তবে এবার বিক্ষোভ নয়। প্রতিবাদের হাতিয়ার বাড়ির দেওয়াল। মালদহের পাঁসিপাড়ার বাসিন্দারা জানতে পারেন তৃণমূলের নেতারা গ্রামে আসবেন। তারপরই দেওয়াল লিখতে শুরু করেন তাঁরা (গ্রামবাসী)। দেওয়ালে লেখা রয়েছে, 'দিদির দূত ও নেতা মন্ত্রীদের এই পাড়ায় ঢোকা নিষেধ'।
এক গ্রামবাসী বলেন, 'কোনো নেতা মন্ত্রীকে আমরা গ্রামে ঢুকতে দেব না। সামনে ভোট। এখন সকলে আসছেন। আমরা গ্রামবাসীরা মিলে দেওয়ালে লিখেছি। আমাদেরকে আগেও বলা হয়েছিল রাস্তা ঠিক করে দেওয়া হবে কিন্তু আজ পর্যন্ত ঠিক হয়নি। নেতারা এসে শুধু প্রতিশ্রুতি দয়ে চলে যায়।'
গ্রামবাসীরা বলেন, 'এবার নেতা মন্ত্রীরা আসলে আগে রাস্তা করতে বলব। তারপর গ্রামে ঢুকতে দেব। বার বার আমরা ঠকতে চাই না। এই রাস্তা দিয়েই আমরা প্রতিদিন চলাফেরা করি। আমরা কেন কষ্ট করব? ভোট আসলেই নেতাদের মনে হয় গ্রামে যাওয়া দরকার। ভোট মিটে গেলেই আর কেউ দেখে না।'
অন্যদিকে, সোমবারই মালদহের ইংরেজবাজারের বিনোদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন মালদহ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের সভাধিপতি। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, টাকা দিয়েও আবাস যোজনায় ঘর পাননি। রাস্তার বেহাল দশা, পানীয় জলের অভাব রয়েছে বলেও ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান কাটমানি নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন