তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় রাজবংশী সম্প্রদায় নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে ক্ষমা চাইতে হলো মমতা ব্যানার্জিকে। সাংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, 'আমার মন্তব্যে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।'
গত ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে বক্তব্য রেখেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। বক্তৃতা চলাকালীন তিনি রাজবংশী সম্প্রদায় নিয়ে বেশ কয়েকটি মন্তব্য করেছিলেন। যা অপমানজনক দাবি করে মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মণ। তিনি প্রকাশ্যে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী রাজবংশী সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন। তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।
এরপরই নিজের ট্যুইটারে ওই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি লেখেন, "আমাদের কাজ এবং উন্নতির মাধ্যমেই প্রতিফলিত হয় যে রাজবংশী সম্প্রদায়কে আমরা কতটা শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। বাংলার বিশ্বাসঘাতকদের লজ্জা লাগা উচিত। কারণ তারা জনগণের প্রতি আমার ভালোবাসা, ঐক্য ও শ্রদ্ধার ওপর ঘৃণা ছড়াচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বিজেপি তার নিজস্ব বর্ণবাদী মানসিকতা ও বিভেদমূলক রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে।"
ট্যুইট করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও তিনি বলেন, "আমার মন্তব্য ভুল বোঝানো হচ্ছে মানুষকে। আমি রাজবংশী সম্প্রদায়কে অপমান করিনি। প্রয়োজনে ভিডিও আছে সেটা শুনতে পারেন। পরের লাইনটাও শোনা দরকার। আমি বলেছি তাঁদের পায়ে প্রণাম করি। এরপরেও যদি কেউ দুঃখ পেয়ে থাকেন তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।"
মমতা ব্যানার্জির ক্ষমা চাওয়ার পর বংশীবদন বর্মণ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চাওয়ায় আমরা খুশি। মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া নিয়েও রাজনৈতিক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন রয়েছে। রাজবংশী ভোট ব্যাঙ্ক হাতে রাখতেই দ্রুত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন