সাগরদিঘি উপনির্বাচন হারের পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে শাসক দল। হারের কারণ জানতে কমিটিও গঠনের নির্দেশ দেন মমতা ব্যানার্জি। এবার সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা দফতরের দায়িত্বও নিজের হাতে নিলেন তিনি।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সাগরদিঘিতে জয় পেয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগের কারণেই এই ফল। বিষয়টি হালকা ভাবে নেয়নি তৃণমূল। এতদিন গোয়ালপোখরের তৃণমূল বিধায়ক গোলাম রব্বানি সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব সামলে ছিলেন। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে এবার নিজে সেই দায়িত্ব নিলেন মমতা ব্যানার্জি।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী হলেন হরিশচন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। এছাড়াও তিনি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে গোলাম রব্বানিকে। তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর থেকে ফাঁকা ছিল এই দফতর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাগরদিঘিতে হারের পরেই ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছিল ফিরহাদ হাকিমকে। নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয় হুগলির তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে। যদিও নবান্নর তরফ থেকে বলা হয়েছিল এটা পূর্ব নির্ধারিত ছিল।
এর আগে মমতা ব্যানার্জি পাঁচ সংখ্যালঘু মন্ত্রীর সাথে বৈঠকও করেছিলেন সাগরদিঘিতে হার নিয়ে। ওই পাঁচ মন্ত্রী ছিলেন, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, তৎকালীন সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি এবং জঙ্গিপুরের মন্ত্রী জাভেদ খান।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "নির্বাচনের প্রভাব কি আদৌ পড়েছে সংখ্যালঘুদের মধ্যে? ক্ষমতায় আসার পর থেকে সংখ্যালঘুদের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। কোথাও কোনো রকম ত্রুটি থাকলে তা সমাধান করতে হবে।" সাগরদিঘি উপনির্বাচন নিয়েও একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নয়া পদক্ষেপ কতটা কার্যকরী হবে তা সময় বলবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন