সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই মুহূর্তে গরু পাচার মামলায় জেলে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এই অবস্থায় বীরভূমে নতুন কোর কমিটি গঠন করে দিলেন মমতা ব্যানার্জি। তাতে জায়গা পেয়েছে অনুব্রত মণ্ডল 'বিরোধী' বলে পরিচিত দুজন - কাজল শেখ এবং শতাব্দী রায়। তাহলে কি অনুব্রতর সাথে দূরত্ব বাড়াচ্ছে দল? রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গোরু পাচারকাণ্ডে জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে কীভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল লড়াই করবে সেটাই চ্যালেঞ্জ এখন। সোমবার আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা উদ্বোধনের পরেই বীরভূমে উড়ে যান মমতা ব্যানার্জি। সেখানে অমর্ত্য সেনের সাথে দেখা করার পর দলের সাংগঠনিক নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী।
বীরভূমে তৃণমূলের অস্বস্তির বিষয় দলীয় কোন্দল। এই অবস্থায় ওই জেলার সংগঠনের দায়িত্ব নিজের হাতেই তুলে নিলেন মমতা ব্যানার্জি। বৈঠক শেষে নতুন কোর কমিটির কথা প্রকাশ্যে আসে। আগের কোর কমিটি গড়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। যেখানে চার সদস্য ছিল - লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এবং রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ছিল। নতুন কমিটিতে এই চারজনের পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে শতাব্দী রায়, কাজল শেখ ও অসিত মালকেও যুক্ত করা হয়েছে।
শতাব্দী রায় ও কাজল শেখের সাথে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্ক যে খুব একটা ভালো নয়, তা রাজনীতি-সচেতন সকলেই জানেন। সরকারি কাজ নিয়ে একাধিকবার সাংসদ শাতাব্দী রায়ের সাথে বিতর্কে জড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনকি দলীয় কর্মসূচিতে অনুব্রত মণ্ডল থাকলেই দলের সাংসদকে সেখানে দেখা যেত না। আবার নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখও অনুব্রতর বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবেই পরিচিত। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষও প্রকাশ্যে এসেছিল।
উল্লেখ্য, কোর কমিটি গঠনের পাশাপাশি দলীয় নেতাদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, অনুব্রত নেই, তাই আমি সংগঠন দেখব। কোনো দ্বন্দ্ব সহ্য করা হবে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন