আগামী ২৭ মে হওয়া নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বার বার বঞ্চনার অভিযোগ তুললেও কেন বৈঠক বয়কট করছেন মমতা ব্যানার্জি?
একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে গ্রাম সড়ক যোজনা, আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। একাধিকবার এমন অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু তা সত্ত্বেও নীতি আয়োগের বৈঠকে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে,, সব শেষে পশ্চিমবঙ্গকে বলতে দেওয়া হয়। তখন প্রায় বৈঠক শেষ হয়ে যায়। শোনাই হয় না কোনো কথা। বাংলাকে প্রায় বঞ্চিত করে রাখা হয় যে বৈঠকে সেখানে যাওয়া অর্থহীন।
তৃণমূল সরকারের অনুপস্থিতি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বাম-কংগ্রেস। সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "আমরা সব সময় চাই অফিশিয়াল মিটিং-এ সমস্ত সরকার যোগদান করুক। রাজ্যের দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলুন। এটা তো শুধু মমতা ব্যানার্জির বিষয় নয়। গোটা রাজ্যের মানুষের বিষয়। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি কোনো অফিশিয়াল মিটিং-এ যান না। উনি ফাইল ছাড়াই একা একা বৈঠক করতে যান, সেটার অবশ্য কারণ আলাদা। উনি নীতি আয়োগে যান না। দুর্নীতি আয়োগে যান"।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'আপনি বাংলায় বলছেন ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হচ্ছে না, বাংলায় বিজেপি অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরি করেছে। কিন্তু এই কথাগুলো যেখানে বলার সেখানে যাচ্ছেন না কেন? আপনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন শুধু ভাষণ দেওয়ার জন্য নয়। নীতি আয়োগ একটা ফোরাম। সেই ফোরামে গিয়ে বাংলার কথা কেন বলা হবে না? বাংলার বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কেন হবে না? দরকার হলে যেখানে নীতি আয়োগের বৈঠক হচ্ছে সেখানে গিয়ে ধর্না দিন।'
তিনি আরও বলেন, 'মমতা ব্যানার্জি বাংলায় দিনরাত বাচ্চাদের মতো কান্নাকাটি করছেন। কিন্তু বাংলার কথা বলার যখন সুযোগ আসছে তখন পলায়ন করছেন। আপনি একজন পলায়নকারী রাজনীতিবিদ। আপনার সত্য যুক্তির অভাব আছে তাই নীতি আয়োগের বৈঠকে যাচ্ছেন না। আপনি যদি আমাকে প্রতিনিধি করে পাঠান আমি আপনার হয়ে লড়াই করবো। কারণ আমি বাংলার মানুষ।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন