রাজ্যে প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ প্রায় ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জারি হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। এই পরিস্থিতিতে প্রথম থেকে গঙ্গাসাগর মেলার করার বিরোধিতা করছে বিরোধীরা। সমাজের বিশিষ্টজন, চিকিৎসক মহল সতর্ক করেছে। মেলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মেলা না হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে।
হাইকোর্টে এই ইস্যুতে একাধিক মামলাও হয়েছে। কিন্তু মেলা বন্ধ হয়নি। শর্তসাপেক্ষে মেলা করার রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। গঙ্গাসাগর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। শুক্রবার রাজ্য মানুষের জীবন নিয়ে ছেলে খেলা করছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর তুলনায় বেশি হিন্দু বলে প্রমাণ করার জন্যই মেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, 'গঙ্গাসাগর মেলা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে চাইছেন যে তিনি সব পারেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেমন হিন্দু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার চেয়ে কম হিন্দু নন!' তিনি আরও বলেন, 'মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা হলেও তো কোনও অসুবিধা নেই! বার্তা তো পৌঁছে গেল।' এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের কাছে মানুষের জীবনের কোনও মূল্য নেই বলেই অভিযোগ তাঁর।
কলকাতা হাইকোর্ট গঙ্গাসাগর মেলায় একগুচ্ছ গাইডলাইন বেঁধে দিলেও কিছুই মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। কয়েকদিন আগেই অধীর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, 'কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। গঙ্গাসাগর মেলা যেন করোনা সংক্রমণের মেলা না হয়ে ওঠে।'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গঙ্গাসাগরমেলা পর্যবেক্ষণ করার জন্য হাইকোর্ট প্রথমে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। পরে অবশ্য ওই কমিটি থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দিয়ে দুই সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। হাইকোর্টে যাঁরা মামলা করেছিলেন, তাঁদের মতে শুভেন্দু অধিকারী থাকলেই এই ইস্যুতে রাজনীতির রং লাগতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন