কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সাথে এ রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সংঘাত নতুন নয়। এই আবহে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহের একান্ত বৈঠক ঘিরে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাম-কংগ্রেসের দাবি, মমতা-শাহের বৈঠক আসলে তৃণমূল-বিজেপির সমঝোতার অংশ।
শনিবার সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয় মমতা ব্যানার্জী এবং শাহের বৈঠক। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বৈঠক শেষ হয় দুপুর ১:৩০ পর। পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং ক্যাবিনেটের অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক হয় নবান্নের সভাঘরে। বৈঠক শেষে চোদ্দতলায় একান্তে মমতা এবং শাহের সুদীর্ঘ কথোপকথন চলে।
সূত্র মারফত জানা গেছে, মমতা এবং অমিত শাহের মধ্যে বেশিরভাগ আলোচনাই হয়েছে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে। মূল যে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে:-
১) সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ করতে বাড়তি নজর,
২) জায়গাভিত্তিক বিএসএফ-র অতি সক্রিয়তা এবং নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ,
৩) কেন্দ্র-রাজ্যের সম্পর্কের উন্নতি এবং সমন্বয় বৃদ্ধির দিকে নজর,
৪) ৪ টি রাজ্যের পরিকাঠামো এবং উন্নয়ন সংক্রান্ত অভিযোগ,
৫) বিভিন্ন জলাধারের জল ছাড়া নিয়ে সমস্যা মেটাতে
৬) ১০০ দিনের বকেয়া মেটাতে বৈঠক হয়েছে বলেই জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, নবীন পট্টনায়কের তরফে উপস্থিত ছিলেন ওড়িশার দুই মন্ত্রী। এক দেশ, এক পুলিশ এই সংক্রান্ত নতুন বিল আনার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। সেই নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত থেকে শুরু করে বিএসএফ-র এক্তিয়ার বৃদ্ধি, একাধিক বিষয়ে বহুবার প্রকাশ্যে এসেছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। তবে, এবার সরাসরি পরস্পরের মুখোমুখি মমতা-শাহ। প্রশাসনিক শীর্ষকর্তাদের মতে, এই ধরনের বৈঠকের রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন