২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন নন্দীগ্রামের শেখ সুফিয়ান। কিন্তু এবার নন্দীগ্রামে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটিতেই নেই সুফিয়ান। ফলে টিকিট না পাওয়ার আশঙ্কায় আগেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোননয়ন দিচ্ছে সুফিয়ানের অনুগামীরা। তাহলে কি তৃণমূলের সাথে দূরত্ব বাড়ছে সুফিয়ানের?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। মনোনয়ন জমা দিচ্ছে বিরোধীরা। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এর মধ্যেই নন্দীগ্রামের প্রায় ৪০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন 'বিক্ষুদ্ধ' তৃণমূল সদস্যরা। যাঁরা এলাকায় শেখ সুফিয়ানের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮টি আসনের মধ্যে ১০টি, কেন্দেমারি পঞ্চায়েতের ২২ আসনের মধ্যে ১৯টি এবং দাউদপুরের ১৭টি আসনেই মনোনয়ন জমা দেন।
এখন প্রশ্ন উঠছে, মমতা ব্যানার্জি নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ার কারণেই কি সুফিয়ানকে নন্দীগ্রামে নির্বাচন পরিচালন কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে? নাকি অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশে সুফিয়ান বাদ পড়েছে?
এক বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযোগ, ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গের চক্রান্তেই সুফিয়ানকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন চাইছেন সুফিয়ানের অনুগামীদেরও পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে দিতে। অভিষেক ব্যানার্জির নাম করে অন্যদের তিনি টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তাই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা করা হয়েছে।
শেখ সুফিয়ান বলেন, আমরা পুরনো কর্মী। দলের যখন প্রয়োজন ছিল আমাদের ব্যবহার করেছে। নন্দীগ্রামে যখন তৃণমূল ছিল না তখন আমরা ছিলাম। এখন অনেকে নতুন করে আসছে দলে। এর থেকে বেশি কিছু বলার নেই। মনোনয়ন জমা দেওয়ার অধিকার সবার আছে। কেউ নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতেই পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন