দীক্ষা দেওয়ার নাম করে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে স্বঘোষিত ধর্মগুরু উজ্জ্বল দাসকে। জানা গেছে, ওই সময় ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন নির্যাতিত মহিলার স্বামী।
শনিবার এই ঘটনায় বীরভূমের দুবরাজপুরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দম্পত্তির অভিযোগে ৪৮ বছরের উজ্জ্বল দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের গাড়িতে বসে উজ্জ্বল স্বীকার করেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি ধর্ষণ করেছি।‘ তিনি আরও জানান, ‘আগে স্বামীকে দীক্ষা দিয়েছি। সে অন্য ঘরে চলে যাওয়ার পর ধর্ষণ করেছি।‘
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুবরাজপুর এলাকায় একটি গ্রামে দীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন উজ্জ্বল দাস। এলাকায় তাঁর বেশ পরিচিতি আছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। পাশাপাশি, নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাঁকে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে এক পুলিশ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘আজ (শনিবার) অভিযুক্তকে দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হচ্ছে। ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, একটি ঘরে মহিলাকে একা পেয়ে তিনি ধর্ষণ করেন। মহিলার স্বামী তখন ওই ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।‘
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন