নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের মাঝেই ভাঙড়ে এক পাঁচিল ঘেরা ফাঁকা জায়গায় একাধিক সরকারি নথি পোড়ানোর অভিযোগ উঠলো। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তড়িঘড়ি বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করতে পেরেছেন তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়া এলাকায়। জানা যাচ্ছে সোমবারেও ওই এলাকার একটি পাঁচিল ঘেরা ফাঁকা জায়গায় প্রচুর নথি পোড়ানো হয়েছিল। মঙ্গলবারও সেই একই কাজ হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তৎপর হয় সিবিআই। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ছাইয়ের মধ্যে থেকেই প্রচুর সরকারি নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, নথিগুলির মধ্যে একাধিক চেক রয়েছে, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথিও উদ্ধার হয়েছে। এর সাথে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
এই প্রসঙ্গে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, "কারা করলো, কেন করলো সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। আমার মনে হয় স্থানীয় মানুষদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা অনেক কিছুই বলতে পারবেন। তবে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে আগে। নয়তো প্রভাবশালীরা সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ করতে পারে। তাঁদের প্রাণহানিও হতে পারে। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করলে আমার মনে হয় অনেক কিছুই জানতে পারবেন আধিকারিকরা।"
অন্যদিকে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, "অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত। কে করেছে তা জানা দরকার। সিবিআই আধিকারিকরা নিজেদের কাজ করছেন। তদন্তে যদি কোনো প্রয়োজন হয় তাহলে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করতে আমরা রাজি। আমরাও চাই আসল অপরাধীর শাস্তি হোক।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন