তিনদিন পেরিয়ে গেলেও, এখনও খোঁজ মেলেনি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার 'মাস্টারমাইন্ড' শেখ শাহজাহানের। কোথায় তৃণমূল নেতা? শুক্রবার ঘটনার পরই মনে করা হয়েছিল সম্ভবত বাংলাদেশ পালিয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু শাহজাহানকে নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতা। জানালেন, শাহজাহান এলাকাতেই আছেন। শাহজাহানের পাশেও দাঁড়ালেন তিনি।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। আহত হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীও। এই ঘটনার পর থেকে কার্যত বেপাত্তা শাহজাহান। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে লুক আউট নোটিশ। খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর গ্রেফতারি চেয়ে সরব হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে শাহজাহানের পাশে দাঁড়ালেন বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, “শেখ শাহজাহান বড় মাপের একজন নেতা। তিনি দেশ ছেড়ে পালাননি। তিনি দেশের মধ্যেই রয়েছেন। এলাকার মধ্যেই রয়েছেন। এখানে বিজেপি চক্রান্ত করে ইডি, সিবিআইকে দিয়ে তাঁকে হেনস্তা করছে। আর সেটা রুখে দিয়েছে সাধারন মানুষ।”
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনার প্রেক্ষিতে বিধায়কের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমটি হল, ইডির উপর হামলার ঘটনার পর শাহজাহানের একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি অনুগামীদের সিবিআই এবং ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ভয় না পাওয়ার কথা বলছেন। তিনি এও জানান, সঠিক সময়ে তিনি সামনে আসবেন।
দ্বিতীয়টি হ'ল ইডি শাহজাহানের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আশঙ্কা, তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। কারণ বাংলাদেশ সীমান্ত শাহজাহানের বাসভবনের খুব কাছাকাছি।
শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইডি-র লুকআউট নোটিস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুকুমার মাহাতা। “ইডি যা দাবি করছে তা সম্পূর্ণ অসত্য। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই তারা কাজ করছেন। যে এখনও তার এলাকায় আছে তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করার অর্থ কী?" প্রশ্ন বিধায়কের।
ইডি এবং কেন্দ্রীয় জওয়ানদের উপর হামলা প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, “কারও বাসভবনের প্রবেশদ্বার ভাঙার চেষ্টা করা হলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হবেই। সেই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে যুক্ত করা যায়? সেখানে দলীয় পতাকা নিয়ে কেউ যায়নি। কেন ইডি আধিকারিকরা সেখানে যাওয়ার আগে স্থানীয় পুলিশকে জানাননি?”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন