সন্দেশখালির মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে নদী পেরিয়ে গ্রামে পৌঁছলেন বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি। সাথে রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যান্য বাম নেতৃত্ব।
মূলত কোথায় কোথায় সবথেকে বেশি নারী নির্যাতন হয়েছে সেই সমস্ত এলাকায় যাচ্ছেন মীনাক্ষী। আক্রান্তদের পরিবারের সাথে কথা বলছেন বাম যুবনেত্রী। কার্যত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়েই সন্দেশখালিতে ঢুকেছেন তিনি। তাঁর এই যাত্রার কোনও খবর ছিল না স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের কাছে। সাধারণত যে রাস্তায় সন্দেশখালি যাওয়া হয় সেই পথে যাননি তিনি।
একের পর এক গ্রামে টোটো করে ঘুরছেন মীনাক্ষী মুখার্জি। অত্যাচারিতদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন DYFI-এর রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা। সংবাদমাধ্যমের সামনেও বিশেষ কিছু বলতে চাইছেন না মীনাক্ষী। তিনি শুধু জানাচ্ছেন, কাজ করতে এসেছি। পরে সব জানাবো। সংবাদমাধ্যমকে তাঁর থেকে দুরত্ব বজায় রাখতেও বলেছেন তিনি। তিনি নিজে গ্রামবাসীদের থেকে সমস্ত অভিযোগ শুনবেন, এমনটাই জানা গেছে।
ধৃত সিপিআইএম-এর প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের বাড়িতেও গিয়েছেন মীনাক্ষীরা।
সন্দেশখালিতে সিপিআইএমের এরিয়া কমিটির একটি পার্টি অফিস ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে ছিল। শনিবার সেই দফতর খুলছে আবার। মীনাক্ষীদের সেখানেও যাওয়ার কথা রয়েছে।
৫০ দিন পার হয়ে গেছে এখনও অধরা রয়েছে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। এর মধ্যেই সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের ওপর শাহজাহান ও তার ঘনিষ্ঠদের অত্যাচারের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সেই মানুষদের লড়াইয়ে পাশে থাকার বার্তা দিতে এবং তাঁদের অভিযোগ শুনতে সন্দেশখালি গেলেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি।
এর আগে মীনাক্ষী মুখার্জিকে সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, তাই আজকের কর্মসূচি নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছিল। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
এর আগে গ্রামের মহিলাদের অবস্থা জানতে সন্দেশখালি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাত। প্রথমে তাঁদেরকে আটকানো হয়েছিল ধামাখালিতে। পরে পুলিশ সিপিআইএম নেত্রীকে সন্দেশখালি যেতে দেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন