অসমে জবরদখল করা জায়গা থেকে বেশ কিছু পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আর এর ঠিক একদিন পর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেছেন, দারিদ্রতা দূর করতে হলে অবিলম্বে জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতি মেনে চলতে হবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের। এই মর্মে সম্প্রদায়ের নেতাদের এগিয়ে এসে সরকারের দারিদ্র দূরীকরণের কর্মসূচিকে সাহায্য করতে হবে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে জমি দখল ও জনসংখ্যা বাড়ার জন্য সংখ্যালঘুদেরই দায়ী করেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সরকারের ৩০ দিন পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'জমি দখলের মতো নানা সামাজিক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে যদি অভিবাসী মুসলিমরা পরিবার পরিকল্পনা মেনে চলে।' ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, অসমের মোট জনসংখ্যার ৩৪.২২ শতাংশ মুসলিম। এমনকী, অনেক জেলায় মুসলিমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
হিমন্ত বলেন, 'বাইরে থেকে আসা মুসলিমরা যদি পরিবার পরিকল্পনা অনুসরণ করে এবং নিজেদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে, তবে কোনও সমস্যাই থাকবে না। যদি এভাবেই জন বিস্ফোরণ হতে থাকে, তবে একদিন কামাক্ষ্যা মন্দিরের জমিও দখল হয়ে যাবে, এমনকী, আমার বাড়িও দখল হয়ে যাবে।'
বরপেটার কংগ্রেস সাংসদ আব্দুল খালেক টুইট করে বলেন, গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সুয়োমোটো পদ্ধতিতে এই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করার কথা কথা বলেছেন। কিন্তু তারপরেও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। বিশেষ করে এই মহামারী পরিস্থিতিতে মানুষদের উচ্ছেদ করে আইন লঙ্ঘন করছে সরকার।
এদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, তাঁর সরকার কোনও সম্প্রদায়ের বিরোধী নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন