ফের বিজেপির এক অনুষ্ঠানে শীর্ষ নেতৃত্বের অনুপস্থিতির কারণে দলত্যাগের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। পূর্ব নির্ধারিত ছিল যে, নবনিযুক্ত বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দিল্লি থেকে ফিরলে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সেই মতো সল্টলেকের ইজেডসিসিতে বিজেপি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।
এদিন বিজেপির হাইভোল্টেজ সংবর্ধনা সভায় বিজেপির নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বঙ্গ বিজেপির সব শাখা থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সবাইকে অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য হুইপ জারি করে বিজেপি। বিজেপি সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে লকেটের। ভবানীপুরের উপনির্বাচনে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সমর্থনে যখন বিজেপি জোরদার প্রচার চালানো শুরু করে, তখনও কিন্তু দেখা যায়নি হুগলির সাংসদকে। যদিও লকেট এই মুহূর্তে উত্তরখণ্ডের সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন।
সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পর থেকেই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। বাংলা থেকে চারজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পান। কিন্তু এবারও বাদ যান লকেট। এরপর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁর। বিজেপি সূত্রে খবর, এইপরই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা নিজের বাসভবনে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে তলব করে বরফ গলানোর চেষ্টা করেন। লকেটকে বড় কোনও কেন্দ্রীয় পদে বসানো হবে বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আশ্বাস দিলে তাতে কাজও হয়। তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমতুল্য পদ জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্ত বিজেপির কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যায়নি।
দিল্লি থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায় একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'জল্পনা তৈরির দরকার নেই। আমি বিজেপিতেই আছি। আমি এখন দিল্লিতে। সুকান্ত মজুমদার যখন দিল্লিতে আসেন, আমি নিজে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এছাড়া আমি এখন উত্তরাখণ্ডের সহকারী পর্যবেক্ষক হওয়ায় দিল্লিতে বেশি সময় দিতে হচ্ছে। তাই রাজ্যের কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারছি না।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন