আসানসোলে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির অন্যতম সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী। ভোট পরবর্তী হিংসার সময় শীর্ষ নেতৃত্বের কোনো সাহায্য পায়নি বলে অভিযোগ কর্মীদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় বঙ্গ বিজেপি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা। কর্মীদের মনোবল বাড়াতে বাংলায় এসে জেলায় জেলায় সফর করছেন মিঠুন চক্রবর্তীও। শনিবার সেই উদ্দেশ্যেই পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের সাথে মিটিং করতে যান। সাথে ছিলেন সুকান্ত মজুমদারও। সূত্রের খবর সেখানেই তাঁদের দু’জনকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন দলীয় কর্মীরা। দলের অনেকেই গোপনে তৃণমূলের সাথে যোগাযোগ রাখছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল যখন গ্রামে গ্রামে সন্ত্রাস চালিয়েছে তখন বিজেপির কোনো শীর্ষ নেতা বাঁচাতে আসেনি। খোঁজও নেননি। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি, দোকান সবকিছু ভাঙচুর করা হয়। যাঁরা বিভিন্ন কারখানায় কাজ করতেন তাঁদেরকে বাদ দেওয়া হয়। শুধু পুরুষ না মহিলাদের ওপরও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা অত্যাচার চালিয়েছে। দলীয় সভায় গেলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। তখন একবারের জন্যও বিজেপি নেতারা আসেননি। কিছু মাস পর নির্বাচন আছে বলে নেতাদের আসছে এখন!
এমনকি আসানসোলের পুরভোটেও বিজেপি প্রার্থী হতে চাননি অনেকে বলে জানা গেছে। তার দুটো কারণ। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভরসা না পাওয়া ও শাসকদলের অত্যাচার। স্থানীয় নেতাদের কথায়, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল স্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন আমরা বুথে বুথে পাঁচজন কর্মীকেও বের করতে পারছি না।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কর্মীদের ক্ষোভ দেখানোটাই স্বাভাবিক। বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল যে সন্ত্রাসটা চালিয়েছে তাতে শুধু কর্মীরাই নন আমরাও আতঙ্কে ছিলাম। অবশ্যই দোষ আমাদের, আমারা তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি। তবে এটাও ঠিক এখন আর আগের পরিস্থিতি নেই। বিজেপি একটা পরিবার। তাই এবার সকলে মিলে তৃণমূলের আক্রমণ প্রতিহত করব।
উল্লেখ্য, কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে মিঠুন চক্রবর্তী তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রয়োজনে নিয়মিত খবর নেবেন বলেও জানিয়েছেন। আর কোনোরকম অশান্তি হলে সরাসরি তাঁর সাথে যোগাযোগের কথাও বলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন