সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে দলের অস্বস্তি বাড়ালেন বারাসাতের তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। দলবদলকে বিশ্বাসভঙ্গ বা লোকঠকানো বলেই দাবি করছেন তিনি।
জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমে চিরঞ্জিৎ বলেন, 'এই ভাবে দলবদল করা আমি পছন্দ করি না। আমার মনে হয় একজনের হয়ে ভোটে জিতে তারপর অন্য দলে কী করে চলে যাব? এটা একদমই উচিত নয়। এই কাজ করা মানে কাউকে ঠকানো হবে। মানুষ তো একটা চিহ্ন দেখেই ভোট দিয়েছে। দলবদল করলে সেই প্রতীকের আর মূল্যই থাকছে না'।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় এই বিষয়ে কোনো আইন আনা দরকার। এক দলের বিধায়ক হয়ে অন্য দলে এলে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা উচিত। পরবর্তীতে পুনরায় ভোটে দাঁড়িয়ে মানুষের ভোটে জিততে হবে। তারপর বিভিন্ন পদ নিক। তাতে কোনো আপত্তির বিষয় নেই।
শুধু বাইরনই নয়। বিজেপি থেকে তৃণমূলেই যোগ দেওয়া অর্জুন সিং-র নাম না করেই কটাক্ষ করেন তিনি। বারাসাতের বিধায়ক বলেন, অন্য কোনো দলের এমপি তৃণমূলে এলে সেই একই জিনিস হচ্ছে। তিনি জিতেছেন অন্য দলের প্রতীকে আর আছেন তৃণমূলে। দু'দিক থেকেই সুবিধা পাবেন তিনি এটা হতে পারে না।
বাইরনের দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মমতা ব্যানার্জিও। মঙ্গলবার তিনি বলেন, এগুলি ব্লক পর্যায়ের রাজনীতি। সেই ব্যাপারে বিশেষ কিছু বলার নেই। এখন লক্ষ্য জাতীয় রাজনীতি। রাজ্যে বিভিন্ন ব্লকে এমন ঘটনা হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত, সোমবার ঘাটালে তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে নিয়ে দলবদল করেন কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে পরাজিত করেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন। ২১-র বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও উপনির্বাচনের ফলাফলে তৃতীয় স্থানে চলে যায় বিজেপি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন