১৩৪ জন মহিলার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ঢুকলো উপপ্রধানের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বাদুড়িয়ার জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। কমপক্ষে ১৩৪ জন মহিলার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান হাসানুর জামানের স্ত্রী ইরিনা ইয়াসমিনের অ্যাকাউন্টে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন জগন্নাথপুরের তিলভাঙা গ্রামের স্বপ্না সেন নামের এক মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা না পেয়ে বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিন মাস আগে নিকটবর্তী 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্প থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম ভরেছিলেন গৃহবধূ স্বপ্না সেন। ক্যাম্পের কাছে থাকা তৃণমূলের সহায়তা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড ও ফর্ম জমা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে থাকা ব্যক্তিরা ফর্ম ভরে দিয়েছিলেন তাঁর।
কিন্তু টাকা ঢোকা তো দূর, তিন মাস কেটে গেলেও ফর্ম গৃহীত হওয়ার কোনো এসএমএস-ও আসেনি তাঁর মোবাইলে। প্রথমে তিনি ব্যাঙ্কে খোঁজ নেন। এরপর বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ জানান।
স্বপ্না সেন জানান, বিডিও অফিস থেকে থেকে তাঁকে বলা হয়েছে, ফর্মে থাকা মোবাইল নম্বর এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে তাঁর মোবাইল নাম্বার এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মিল নেই। ফর্মে যেই অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া আছে সেখানে টাকা ঢুকেছে। এরপর খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফর্মে থাকা অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নাম ইরিনা ইয়াসমিন, উপপ্রধান হাসানুর জামানের স্ত্রী।
এরপর আরও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এরকম প্রায় ১৩৪ জন মহিলার লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকেছে ইরিনা ইয়াসমিনের অ্যাকাউন্টে। ঘটনা স্বীকারও করেছেন তৃণমূলের উপপ্রধান এবং এই কাজের জন্য দলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর নামে বদনাম ছড়াতে তৃণমূলেরই অন্য একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করেছে।
তবে এই বিষয়ে বিডিও-র সাফাই প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য এমনটা হয়েছে। প্রকৃত উপভোক্তাদের সমস্ত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ইরিনা ইয়াসমিনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন