সময়ের আগে কেরালা এবং বাংলায় বর্ষা প্রবেশ করলেও, দক্ষিণবঙ্গে তা এখনও এসে পৌঁছায়নি। উল্টে বিভিন্ন জেলায় ফের দেওয়া হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আগমনে কয়েকদিন বিলম্ব হতে পারে। ১০ জুনের বদলে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে ১২ বা ১৩ জুন।
আলিপুর জানিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া জেলার কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ওই তিন জেলা বাদে দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস। তবে রয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে শনিবার বিকালের পর হালকা থেকে মাঝারি ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।
আগামী ৩১ মে কেরালায় বর্ষা প্রবেশের কথা থাকলেও সময়ের একদিন আগে অর্থাৎ ৩০ মে বর্ষা ঢুকেছে সেখানে। ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে কেরালায়। মৌসুমি বায়ু বর্তমানে একটু একটু করে উত্তর-পূর্বের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মিজ়োরাম, মণিপুর এবং অসমেও।
সেই আবহে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, জুনের প্রথম সপ্তাহের শেষ বা দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে বাংলায়। ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। তবে দক্ষিণে বর্ষা প্রবেশে বিলম্ব হচ্ছে। অক্ষরেখা আটকে রয়েছে।
এক আবহবিদের জানিয়েছেন, “মৌসুমী বায়ুর প্রবাহ কোথাও বেশি থাকে, কোথাও কম। বর্তমানে দেশের পশ্চিমভাগে মৌসুমী বায়ুর প্রবাহ বেশি। তাই এ দিকে কম। তাই ১১ জুন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা আপাতত নেই।“ শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পরিমাণ যথাক্রমে ৩৭.১ ডিগ্রি এবং ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। যা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।
উল্লেখ্য, দেশে বর্ষা প্রবেশ করে জুন মাসে। এবং ফিরে যায় সেপ্টেম্বরে। চলতি বছর বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে। উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বের কিছু অংশ ছাড়া সারা দেশে ভাল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন