দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ফের ভাঙন শাসক শিবিরে। এবার রায়দিঘি বিধানসভার শঙ্করপুর, আবাদভগবানপুর সহ একাধিক এলাকা থেকে তৃণমূল ছেড়ে ২০০০-র বেশী কর্মী যোগ দিলেন সিপিআইএম-এ।
প্রতিদিনই তৃণমূলের ভাঙনের খবর প্রকাশ্যে আসছে। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো শাসক দলের শক্ত ঘাঁটিতেও সিপিআইএম যে ক্রমশ নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে, তা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বেশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক সময় বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল এই দক্ষিণ ২৪ পরগনা। রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে ক্ষমতা হারাতে থাকে বামেরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেকাহ্নে শক্তি বৃদ্ধি করছে লাল ঝাণ্ডা।
রবিবার রায়দিঘির শঙ্করপুর, আবাদভগবানপুরে তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ, একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য, বর্তমান ও প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি সহ ২০০০-র বেশী কর্মী সমর্থক সিপিআইএমে যোগ দিলেন। তৃণমূল থেকে আগত নেতা কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকার সাথে লাল গোলাপ ফুল তুলে দিলেন রায়দিঘির প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক কান্তি গাঙ্গুলি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সিপিআইএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন, তৃণমূলের নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতেই তৃণমূল ছেড়েছেন তাঁরা। সিপিআইএম-র সমস্ত নীতি ও আদর্শ ভবিষ্যতে মেনে চলবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। আরও অনেকেই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূল ও বিজেপি ছেড়ে সিপিআইএম-এ যোগ দেবেন।
যোগদানকারীদের বক্তব্য, গ্রামের মানুষের কাছে তৃণমূলের দুর্নীতি ও অবৈধ কাজ প্রকাশ্যে এসে গেছে। ফলে অনেকেই তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়া যায় সেই জন্যই সিপিআইএম-এ যোগদান করেছেন তাঁরা।
এই যোগদানকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দলের নেতারা। তাঁরা বলেন, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই ওই কর্মীরা দলবিরোধী ক্রিয়াকলাপে যুক্ত ছিলেন। দলেও কোনো গুরুত্ব পেতেন না। সেই জন্যই অন্যদলে গেছে। তার ফলে তৃণমূলের ভোট বাক্সে কোনো পার্থক্য হবে না।
প্রসঙ্গত, তিন দিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির মনিরতট ও চুপড়িঝাড়া অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে সিপিআইএম-র পতাকা হাতে তুলে নেন ২৫০০ জন। এই তালিকায় ছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতিও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন