উত্তরবঙ্গে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির দলীয় কর্মসূচির আগেই তৃণমূলে ভাঙন। ডুয়ার্সে ৩০০-র বেশি তৃণমূল সমর্থক সিপিআইএম-এ যোগ দিলেন। পাশাপশি আলিপুরদুয়ারেও দুই শতাধিক তৃণমূল কর্মী সিপিআইএমের পতাকা হাতে তুলে নিলেন। বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থকও সিপিআইএমে যোগ দিয়েছেন।
সাঘরদিঘি উপনির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে শক্তি বৃদ্ধি করছে বামেরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের প্রতি আস্থা হারিয়ে বহু কর্মী যোগ দিচ্ছে বাম ও কংগ্রেসে। বাদ নেই বিজেপি কর্মীরাও। তারাও সিপিআইএম-র পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছে। রবিবার ডুয়ার্সের গয়েরকাটার সাঁকোয়াঝোরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঙ্কুবাজারে তৃণমূল-বিজেপি ছেড়ে ৩০০-র বেশী কর্মী সমর্থক যোগদিলেন সিপিআইএম-এ। জানা যাচ্ছে যোগদানকারীদের মধ্যে তৃণমূল থেকে আসা কর্মী সমর্থকের সংখ্যাই বেশী ছিল।ডুয়ার্সের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারে ডিমা চাবাগান আউট ডিভিশনের গাঙ্গুটিয়াতে তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএম-এ যোগদান করেন ২০০-র বেশি কর্মী সমর্থক।
স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্বের দাবি, সাধারণ মানুষ প্রতিদিন তৃণমূলের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের দুর্নীতি সামনে আসছে। সেই জন্যই মানুষ সিপিআইএম-এ যোগদান করছেন। আর এটা পরিষ্কার আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ সিপিআইএমকে চাইছে। এক মাসের মধ্যে যদি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় তাহলে যে হারে তৃণমুল ও বিজেপিতে ভাঙন ধরছে তাতে ওরা জিততে পারবে না। শুধু উত্তরবঙ্গেই নয় বীরভূমের ঝিকড্ডা পঞ্চায়েতের কোট গ্রামেও এদিন ৭০০ জন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক সিপিআই(এম) এ যোগদান করেছে।
উল্লেখ্য, সোমবার কোচবিহারে পৌঁছালেন অভিষেক ব্যানার্জি। তাঁর নেতৃত্বে দলের নতুন কর্মসূচি 'তৃণমূলে নব জোয়ার' শুরু হবে আগামীকাল থেকে। কিন্তু তার আগে কর্মী সমর্থকদের তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক কার্যত অস্বস্তিতে রেখেছে শাসক দলকে। যদিও এবিষয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন