দিলীপের বৈঠকে অনুপস্থিত তিন বিধায়ক-সহ সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি

বনগাঁয় দিলীপের ডাকা সাংগঠনিক জেলা বৈঠকে এক সাংসদ-সহ অনুপস্থিত ছিলেন তিন বিধায়ক। শুক্রবার তাঁরা বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ওই তিন বিধায়কও তৃণমূলে ফিরছেন?
দিলীপের বৈঠকে অনুপস্থিত তিন বিধায়ক-সহ সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি
ফসিল ছবি- সংগৃহীত
Published on

প্রায় চার বছর পর ঘরে ফিরলেন মুকুল রায়। তাঁর তৃণমূলে যোগদানপর্ব চলাকালীন বিজেপির অন্তর্কলহ ফের প্রকাশ্যে এল। বনগাঁয় দিলীপের ডাকা সাংগঠনিক জেলা বৈঠকে এক সাংসদ-সহ অনুপস্থিত ছিলেন তিন বিধায়ক। আর তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। শুক্রবার তাঁরা বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ওই তিন বিধায়কও তৃণমূলে ফিরছেন? তাঁদের অনুপস্থিতিতেই বৈঠক সারলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। পাশাপাশি মুকুল রায়ের দলত্যাগ নিয়ে মন্তব্য করলেন, 'আমি কী করব?'

জনা গিয়েছে, বৈঠকে থাকার কথা ছিল সাংগঠনিক জেলার ৬ বিধায়ক এবং সাংসদ শান্তনুর। কিন্তু ছিলেন মাত্র তিনজন বিধায়ক। গরহাজির প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ হয়েই দিলীপ বলেন, 'আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সবাইকে। তাঁরা নিশ্চয়ই আসবেন।' কিন্তু দেখা যায়, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া এবং সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও উপস্থিত হননি। তাঁদের ছাড়াই বৈঠক শুরু করেন দিলীপ। পরে বলেন, ‘কিছু কিছু লোক ভোটে জেতার জন্য বিধানসভার আগে এসেছিলেন। এরপর বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে বেসুরো হয়েছেন। তাঁদের জন্য দলের কোনও ক্ষতি হবে না। দলের সম্পদ দলের কর্মীরা। তাঁরা সঙ্গে আছেন।’

বৈঠকের সময় তৃণমূল ভবনে মুকুল রায়ের উপস্থিতি নিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, 'আমি কী করব? আমাদের দলের অনেক কর্মী ঘরছাড়া। সবাইকে শান্তিতে বাড়ি ফেরানোই প্রধান লক্ষ্য। কে গেল কে এল তা নিয়ে ভাবতে চাই না।' মুখে যাই বলুন রাজ্য বিজেপির সভাপতি, কিন্তু ক্রমশই যে বিজেপির অন্দরে রক্তচাপ বাড়ছে- তা একপ্রকার দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in