ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বামেরা। মনে করছে রাজ্য-রাজনৈতিক মহল। প্রত্যাশা মতোই আসানসোল, বিধাননগর, চন্দননগর ও শিলিগুড়ি করপোরেশনের ভোটে তৃণমূলের জয়জয়কার। বহু ভোটে পিছনে ফেলেছে বিরোধীদের। চারটিতেই জয়ী ঘাসফুল।
এ-পর্যন্ত সবই ঠিক আছে। চেনা ছকের বাইরে কিছু হয়নি। কিন্তু তাৎপর্যের বিষয়, চন্দননগর ও বিধাননগর পুরভোটে দ্বিতীয় স্থান থেকে বিজেপিকে হটিয়ে দিল বামেরা। চন্দননগরে প্রায় ২৭% ভোট পেয়েছে বামফ্রন্ট। শিলিগুড়ি ও আসানসোলে অবশ্য বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে। কিন্তু ঘাড়ের কাছেই নিঃশ্বাস ফেলছে বামফ্রন্ট।
এতদিন বিরোধী বলতে নাম উঠে আসত বিজেপির। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম বা কংগ্রেস কোনও আসন পায়নি। বিজেপি ৭৭ আসন পেয়েছিল। কিন্তু গত উপনির্বাচন ও কলকাতা পুরভোট থেকে হাওয়া বদল হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, বিরোধী রাজনীতির মুখ হিসাবে কি বামফ্রন্ট উঠে আসছে?
এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে বিধাননগরে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে বামেরা। অথচ বিধানসভা ভোটে এখানে দ্বিতীয় ছিল বিজেপি। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিধাননগর পুরভোটে তৃণমূল ৭৩.৮২ শতাংশ, বিজেপি ৮.৩৫ শতাংশ ও বামফ্রন্ট পেয়েছে ১০.৬৬ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পেয়েছে ৩.৪৯ শতাংশ ভোট।
আসানসোল পুরসভা অঞ্চলে দুটি বিধানসভা আসন বিজেপির। কিন্তু পুরভোটে তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার ১৫.৯০ শতাংশ। খুব কাছেই রয়েছে বামফ্রন্ট। তাদের প্রাপ্ত ভোট প্রায় ১২ শতাংশ। এখানে কংগ্রেস পেয়েছে ২ শতাংশ ভোট। শিলিগুড়ি পুরভোটে তৃণমূল পেয়েছে ৪৮.১৪ শতাংশ। এখানে তৃণমূলকে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলে বিজেপি ২৩.৮৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে।
যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র দখল করেছিল গেরুয়া শিবিরই। কিন্তু পুরভোটে ভোট অনেকটাই কমে গিয়েছে। অন্যদিকে, বামফ্রন্ট তৃতীয় স্থানে থাকলেও বিজেপির থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই বামফ্রন্ট। তারা পেয়েছে ১৭.১৯ শতাংশ। কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ৪.৬৪ শতাংশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন