লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা ছিলই। তাতে ফলপ্রাপ্তি সামান্য হয়েছিল গত উপনির্বাচনে। তার থেকে কিছুটা উন্নত ফলাফল হল কলকাতা ও অন্য চারটি পুরনিগমের নির্বাচনে। আর পুরসভার ভোটের ফলাফলে দেখা গেল ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বামেরা।
কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে দুটি ওয়ার্ড পেয়েছিল তারা। এবার একটি পুরসভা- নদিয়া জেলার তাহেরপুর পুরসভা ঝুলিতে ভরে নিল। গোটা রাজ্যের নিরিখে হয়তো কিছুই না। কিন্তু এই একটা পুরসভাই বামেদের আগামী লড়াইয়ের হাতিয়ার। মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তাহেরপুর পুরসভায় মোট ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি জিতেছে সিপিআইএম। তৃণমূল জিতেছে ৫ টিতে। ফলে এই পুরসভা বামেদের দখলে গেল। ২০১৫ সালে তাহেরপুর নোটিফায়েড এরিয়া পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটি তৃণমূল ও আটটি সিপিআইএম পেয়েছিল। এবারও সেই একই ফলাফল দেখা গেল।
এছাড়াও বামেরা মেদিনীপুর পুরসভায় ১টি ওয়ার্ড, রাজপুর–সোনারপুরেও একটি ওয়ার্ড পেয়েছে সিপিআইএম। গারুলিয়াতে ফরওয়ার্ড ব্লক একটি, গোবরডাঙা পুরসভায় একটি ওয়ার্ড, অশোকনগরে দুটি ওয়ার্ড পেয়েছে সিপিআইএম। বীরভূমে একটি ওয়ার্ড, উত্তরপাড়ায় একটি ওয়ার্ড পেয়েছে সিপিআইএম।
১০৮ পুরসভার মধ্যে দিনহাটা পুরসভা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছিল তৃণমূল। ফলে সকাল থেকেই তৃণমূলের জয়জয়কার। প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও খাতাই খুলতে পারেনি। তাহেরপুর পুরবোর্ড ছিল বামেদের দখলে। সেই বোর্ড নিজেদের হাতেই রাখল সিপিআই(এম)।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে এখানকার ১২টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। বামেরা ছিল তৃতীয় স্থানে। আবার একুশের নির্বাচনে বেশির ভাগ ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল। সুতরাং এবার তাহেরপুর পুরসভার ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ ছিলই। কিন্তু ফলপ্রকাশ হতেই প্রমাণ হল পুরসভায় এখনও অস্তিত্ব রয়েছে বামেদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন