সিভিল সার্ভিসে নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করলেন মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের রুকাইয়া সুলতানা। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের রুকাইয়ার এই সাফল্যে আনন্দে ভাসছে দৌলতাবাদ।
অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা দৌলতাবাদের রুহিয়া গ্রামের রুকাইয়ার। বাবা এক কাপড়ের দোকানের কর্মচারী। মা পার্শ্বশিক্ষিকা। অভাব রুকাইয়ার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। বরং সেই বাধা জয় করে প্রথমবারেই ২৭ তম স্থান ছিনিয়ে এনেছেন রুকাইয়া।
রুহাইয়া বলেন, আমার এই সাফল্যের পেছনে আমার বাবা মা, আমার পরিবারের সদস্যদের অবদান সবথেকে বেশি। এছাড়াও যে কোচিং-এ আমি পাঁচ মাস পড়েছিলাম তাঁরাও আমাকে গাইড করেছেন। পরে করোনার জন্য ওই কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়ে যাবার পর আমি বাড়ি থেকেই পড়াশুনা চালিয়ে যাই এবং প্রিলি ও মেন পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করি। আমার মাস্টারমশাইদের অবদানও কম নয়। তাছাড়া আমার স্বামী যেভাবে সবসময় আমার পাশে থেকেছেন তা অবশ্যই ব্লবার মত।
তিনি আরও বলেন, রসায়নে স্নাতকোত্তর পাশ করার পর আমি আমি ডব্লুবিসিএস-এর প্রতি আগ্রহী হই। নিজে টিউশন পড়িয়ে খরচা চালানোর পাশাপাশি আমি নিজের পড়াশুনো চালিয়ে গেছি।
মেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা জানান, মেয়ের সাফল্যে আমি গর্বিত। অনেক অভাব অসুবিধার মধ্যে ও নিজের পড়াশুনো চালিয়ে গেছে। আজ ও যে সাফল্য পেয়েছে এরপর যেন মানুষের জন্য কাজ করতে পারে সেটাই আমি চাই।
রুকাইয়ার মা বলেন, এখন এসএসসি পরীক্ষা নেই বললেই হয়। তাই ও ডব্লুবিসিএস-এর জন্য পড়াশুনো করতে শুরু করে। আমি
রুকাইয়ার পিসি মানোয়ারা খাতুন বলেন, ও মূলত ওর নিজের চেস্টাতে এই সাফল্য পেয়েছে। হয়তো আমরা ওকে সাহায্য করেছি, ওর পাশে দাঁড়িয়েছি, ওকে গাইড করেছি। কিন্তু এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্বই ওর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন