পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণকৌশল সাজাতে কালীঘাটে বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্যের সমস্ত সাংসদ, বিধায়করা যোগ দিয়েছেন। কিন্তু সেই বৈঠকে যোগ দিলেন না রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আবদুল করম চৌধুরী। যোগ না দেওয়ার কারণ বলতে গিয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
আজকের এই বৈঠকে মমতা ব্যানার্জি, অভিষেক ব্যানার্জির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন, বাবুল সুপ্রিয়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মদন মিত্র, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য বিধায়ক ও সাংসদরা। কিন্তু বৈঠকে যাননি আবদুল করিম চৌধুরী। এর কারণ হিসেবে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, "মিটিং-এ গেলেই সুব্রত বক্সি বলবেন ব্যক্তি বড় নয়। ব্যক্তির থেকে দল বড়। আমি ৫৫ বছর ধরে রাজনীতি করছি। এখন এইসব কথা বলে আমাকে কী বোঝাবেন তাঁরা?"
তিনি আরও বলেন, "আমি মমতা ব্যানার্জিকে দেখে তৃণমূল কংগ্রেসে এলাম। তাঁকে দেখেই পার্টিটা করছি। সেই মমতা ব্যানার্জি আমার বিষয়টা দেখলোই না। আমার নেত্রীই যদি মুখ ফিরিয়ে নেন, তাহলে আমি যাব কোথায়? আমিতো নিজেকে বিদ্রোহী ঘোষণা করেই দিয়েছি। আমি আমার বিধানসভার মানুষের কথা বলবো। তাদের জন্য আমাকে বিদ্রোহী বিধায়ক হতে হলে হবো।"
উল্লেখ্য, এদিন প্রায় ২ঘন্টা ধরে কালীঘাটে বৈঠক হয়েছে। জানা যাচ্ছে বৈঠকে সাগরদিঘিতে পরাজয় নিয়ে একটি বিশ্লেষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের পরে পুনরায় এই কর্মসূচি শুরু হবে বলেই দলীয় সূত্রে খবর। ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, তাপস রায় সহ একাধিক নেতাকে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতের আগে সংগঠন গোছাতে মাসে ৩ দিন জেলাভিত্তিক বৈঠক করবেন মমতা ব্যানার্জি বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কংগ্রেসের দিকে পা বাড়িয়ে রেখেছেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। উত্তর দিনাজপুরের অপর তৃণমূল নেতা জেলা সভাপতি কানহাইয়া লাল আগরওয়ালের সঙ্গে তাঁর বিরোধের কথাও জেলাবাসীর অজানা নয়। এক্ষেত্রেও হয়তো সেই বিরোধের কারণেই ক্রমশ দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন