যাদবপুরকাণ্ডের মাঝেই প্রকাশ্যে এলো ভিন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার এক পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা। কর্তৃপক্ষের দাবি, ১১ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই পড়ুয়া। যদিও আত্মহত্যার তত্ত্ব উড়িয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে মৃত ছাত্রের বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ ছেলেকে খুন করা হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং-র কারণেই প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। সেই একই চিত্র ধরা পড়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায়! মেদিনীপুর থেকে কে এল বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের বিষয় কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে বি.টেক করতে গিয়েছিলেন সৌরদীপ চৌধুরী। কিন্তু বাড়ি ফেরা হলো না তাঁর। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, বহুতল থেকে ঝাঁপ দেওয়ার কারণেই মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার।
মৃত ছাত্রের বাবা সুদীপ চৌধুরী জানান, গত ১৭ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়েছিল তাঁর পুত্র। ঘটনাটি ঘটেছিল ২৪ জুলাই। এক সপ্তাহের মধ্যে বহুবার ছেলের সাথে তাঁদের কথা হয়েছিল। সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু হঠাৎই এই ঘটনা ঘটে। তাঁদের দাবি, র্যাগিং-র কারণেই এমন হয়েছে।
তিনি জানান, ২৪ জুলাই কলেজ কর্তৃপক্ষ ফোন করে বলেন ১১ তলা থেকে পড়ে আপনার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। কলেজের তরফ থেকে আমাকে কোনও সাহায্য করা হয়নি। ওরা থানাতেও যেতে দেয়নি। ডীন অফ স্টুডেন্টস এমনকি কলেজের ছাত্রদের সাথেও কথা বলতে দেয়নি। শুধু চাইছিল আমি বডি নিয়ে যেন পশ্চিমবঙ্গে ফিরে যাই। তখন আমারও মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না। তাই ওরা যা যা বলেছে করেছি। পরে ভেবে দেখি, নিরাপত্তারক্ষী বলেছিল ছেলে ব্যালকনি থেকে পড়ে মারা গেছে। কিন্তু ও যে ঘরে থাকতো সেখানে ব্যালকনিই ছিল না। আবার বলা হয়েছিল ফোন নিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। কিন্তু আমাকে ভালো ফোন দেওয়া হয়েছিল। ১১ তলা থেকে কোনো ফোন পড়লে সেটা অক্ষত থাকে কীভাবে?
পরিবারের তরফ থেকে এও বলা হয়েছে, সিবিআই তদন্তের দাবিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন