বীরভূমের নলহাটির তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী মনোজ ঘোষকে গ্রেফতার করলো জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। এই প্রার্থীর পাথর ক্রাশার রয়েছে, যেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই রাজ্যে তৎপর হয়ে উঠেছিল এনআইএ। একাধিক তৃণমূল প্রার্থীকে নোটিশ দিয়ে হাজিরার নির্দেশও দিতে বলেছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। সোমবার বীরভূমের নলহাটি-১ ব্লকের বানিওর পঞ্চায়েতের প্রার্থী মনোজ ঘোষকে ডেকে পাঠানো হয় নলহাটি থানাতে।
সূত্রের খবর, নলহাটি থানাতেই জেরা করা হয় তৃণমূল প্রার্থীকে। জেরায় মনোজের বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তৃণমূলের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রসঙ্গত, মহম্মদ বাজারে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় ৪ জুলাই মনোজ ঘোষকে প্রথম তলব করেছিল এনআইএ। মহম্মদ বাজারে বিস্ফোরণের পর চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল। তল্লাশি চালিয়ে একটি ক্রাশার থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর জিলেটিন স্টিক, প্রায় ৩ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ৮৫ হাজার ইলেকট্রিক ডিটোনেটর। ওই ক্রাশারের মালিক হলেন মনোজ ঘোষ। তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি হাজিরা দেননি। আইনজীবীর মাধ্যমে এনআইএ কর্তাদেরকে নিজের অনুপস্থিতির কারণ জানিয়েছিলেন। এরপর আজ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
শুধু মনোজ ঘোষ নন। এর আগে একাধিক তৃণমূল প্রার্থীকে ডেকে পাঠিয়েছে এনআইএ। ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে তলব করা হয়েছিল তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী মানব বড়ুয়া, তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য বলাইচরণ মাইতিকেও। এছাড়া তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য চন্দন বর এবং পঞ্চানন ঘড়াইকেও হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। চন্দন বর হাজিরা দিলেও পঞ্চানন ঘোড়াই এনআইএ দপ্তরে যাননি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন