পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একের পর এক তৃণমূল প্রার্থীকে হাজিরার নোটিশ ধরাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। ওই প্রার্থীদের তালিকায় তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী থেকে শুরু করে জেলা পরিষদের প্রার্থীও। যে নিয়ে বেশ চাপেই রয়েছে শাসকদল।
ইডি, সিবিআই-র পাশাপাশি এবার রাজ্যে তৎপর হয়ে উঠলো এনআইএ। মূলত দুটি মামলায় তৃণমূল প্রার্থীদের তলব করা হয়েছে। আগামী ৫ জুলাই ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে তলব করা হয়েছে তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী মানব বড়ুয়াকে। অর্থাৎ আগামীকাল এনআইএ দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য বলাইচরণ মাইতিকে আজ তলব করা হয়েছে। সোমবার এনআইএ দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য চন্দন বর এবং পঞ্চানন ঘড়াইকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। চন্দন বর হাজিরা দিলেও পঞ্চানন ঘড়াই এনআইএ দপ্তরে যাননি।
আবার মহম্মদ বাজারে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় নলহাটির তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী মনোজ ঘোষকেও তলব করেছে এনআইএ। মহম্মদ বাজারে বিস্ফোরণের পর চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল। তল্লাশি চালিয়ে একটি ক্রাশার থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ওই ক্রাশারের মালিক হলেন মনোজ ঘোষ। এই প্রার্থীকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি হাজিরা দেননি। আইনজীবীর মাধ্যমে এনআইএ কর্তাদেরকে নিজের অনুপস্থিতির কারণ জানান।
শাসক দলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক প্রহিংসার দাবি করা হলেও এনআইএ-র দাবি, তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ কর দরকার। সকলের কাছ থেকেই একাধিক তথ্য জানা হচ্ছে। যা তদন্তের গতি আরও বৃদ্ধিত করতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসে অভিষেক ব্যানার্জির সভার আগের দিন রাতে কাঁথির ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতি নগরের নাড়ুয়া বিলা গ্রামে বিস্ফোরণটি হয়। বিস্ফোরণে নিহত হন তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না এবং বিশ্বজিৎ গায়েন। বাকি দু'জনও তৃণমূল কর্মী। ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে তিনজনের ঝলসানো দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন