বিতর্ক বরাবরই তার সঙ্গী। সে রাষ্ট্রপুঞ্জের শংসাপত্রে নাম জড়ানোই হোক, বা মেডিক্যাল কলেজ থেকে জীবনদায়ী ইনজেকশনের ২৬টি ভায়াল উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনাই হোক। তারপরেও ডক্টর নির্মল মাজির কোনও বড় পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়নি। ফের তিনি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি মনোনীত হলেন। স্বাস্থ্য দফতর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি হিসাবে তাঁকে বেছে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে।
তবে এই সিদ্ধান্তকে মানতে পারছে না ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম। সংগঠনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, নির্মল মাজিকে বহিষ্কার করা উচিত ছিল তৃণমূলের। সেখানে তাঁকে পুরস্কৃত করা হল। সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে টসিলিজুমাব কাণ্ডে নির্মল মাজিকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সেই ঘটনায় এক জুনিয়র চিকিৎসককে বদলি করা হলেও তৃণমূল বিধায়কের গায়ে আঁচও লাগেনি। তারপরও এই পদে আসীন হলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি পদে ইস্তফা দেন নির্মল মাজি। তারপর ডা. শান্তনু সেন, ডা. প্রদীপ ভিমানী ও ডা. অসীম রায়কে নিয়ে একটি প্যানেল হয়। কিন্তু তা বাতিল হয়ে যায়। যদিও বাতিলের কারণ কী, তা জানা যায়নি। তারপরই প্যানেলের সদস্য হিসেবে নতুন করে ডা. নির্মল মাজি–সহ আরও দুই চিকিৎসকের নাম পাঠানো হয়।
যদিও এব্যাপারে নির্মল মাজির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসক সংগঠনের অভিযোগ, ২০১৮ সালে মেডিক্যাল কাউন্সিলের যে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নির্মল মাজি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তা আইন মেনে হয়নি। এই নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। সেখানে নতুন প্যানেলে ফের নির্মল মাজির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফের আদালতে যাওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন