শুক্রবার গণেশ চতুর্থীর দিন ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র পেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তাঁঁর সম্পত্তি, আয়-ব্যয় এবং ব্যক্তিগত তথ্য সংক্রান্ত হলফনামা পেশ করেন।
সেই হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষে সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮৪৫ টাকা। গত অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বেশি। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ ১৩ লক্ষ ১১ হাজার ৫১২ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৯ টাকা। হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে ৯ গ্রাম ৭০০ মিলিগ্রাম অলংকারের কথা। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বাড়ি, গাড়ি, চাষযোগ্য জমি, কোনও ঋণ বা কোনও কর বকেয়া নেই।
দুপুর ২টো নাগাদ আলিপুরের সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন পেশ করতে পৌঁছন মমতা। তার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর তিনি ভবনের ভিতরে যান। সঙ্গে ছিলেন মমতার মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, প্রস্তাবক হিসেবে ছিলেন ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী ইসমত হাকিম ও প্রযোজক নিশপাল সিং রানে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টোদিকে বিজেপি প্রার্থী হন শুভেন্দু অধিকারী। অধিকারী গড়ে অবশ্য শুভেন্দুর বিরুদ্ধে হেরে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও রাজ্যে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে ফের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী, এর ৬মাসের মধ্যে তাঁকে কোনও একটি আসন থেকে জিতে আসতে হত।
আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে ভোটে জিতে আসা মমতার জন্য বাধ্যতামূলক ছিল। তাহলেই তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্ব বহাল থাকবে। এদিকে ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি ওই কেন্দ্র থেকে জিতেও যান। তারপর অবশ্য ভবানীপুর থেকে পদত্যাগ করে মমতাকে ভোটে লড়ার সুযোগ করে দেন শোভনদেব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন