নির্মাণের সময়ই ব্রিজ ফাটল। হ্যাঁ, ঠিক এমন চিত্রই দেখা গেল উত্তর চব্বিশ পরগণার দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেখালি গ্রামে। এমনকি চিড় ধরেছে কালভার্টের একাধিক জায়গায়। গ্রামের বিলখালের উপর তৈরী হচ্ছিল এই কালভার্টটি।
স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গেছে, ৭ মাস আগে ব্রিজের শিলান্যাস হলেও ২ মাস আগে তৃণমূল পরিচালিত উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানেই শুরু হয়েছিল কালভার্ট তৈরীর কাজ। যেটি তৈরী করতে খরচ ধার্য হয়েছিল ৪২ লক্ষ টাকা। কিন্তু তৈরী হতে না হতেই নেমে এল বিপর্যয়। কালভার্টের গায়ে দেখা দিয়েছে একাধিক বিপজ্জনক ফাটল।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকারি টাকা নয়-্ছয় করা হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কোনওরকমে খাড়া করা হয়েছে এই কালভার্ট। দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে দেগঙ্গার তৃণমূল বিধায়ক রহিমা মণ্ডলের। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, "আমরা যতটুকু জানি, আমাদের এমএলএ সাহেব ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু ব্রিজের কাজ ঠিকঠাকভাবে করা হয়নি। ব্রিজটা বসে গেছে। কোনওরকমে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য এখন প্লাস্টার করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকা দুর্নীতি করেছে এমএলএ। এর সাথে এমএলএ-র পুরোপুরি যোগাযোগ আছে।"
আরও এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, "দুর্নীতি তো অবশ্যই হয়েছে। না হলে এরকম ব্রিজ হয় নাকি? ৪২ লাখ টাকায় এরকম ব্রিজ হবে? ব্রিজ তো দেখার মতন হবে। কিন্তু এই ব্রিজ তো বাঁকা করেছে। ব্রিজ পুরো বসে গেছে। প্রথম থেকেই বসে ছিল। আমরা বারবার অভিযোগ করেছিলাম। বলেছিল পরে ঠিক করে দেব। এখনও পশ্চিম দিকটা বসে আছে।"
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক রহিমা মণ্ডল জানিয়েছেন, "আমি ইঞ্জিনিয়ারদের রিপোর্ট করেছি। বলেছি আপনি স্পটে যান, ভেরিফিকেশন করুন। আমি এলাকার মানুষদের বলেছি, যদি অসুবিধা হয় তাহলে পিটিশন করে আমাকে দিন, আমি দেখব।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন