একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক তরুণ মুখকে লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়েছিল বামেরা। কলকাতা পুরভোটেও নতুন মুখেই জোর দিয়েছে সিপিআইএম। ৪৩ জন তরুণ তুর্কিকে প্রার্থী করেছিল। তাঁদের বেশিরভাগেরই বয়স ৩০-এর মধ্যে। তাঁরা হয়তো কাউন্সিলর হতে পারেননি, কিন্তু বাম মানে বয়স্ক নেতা - সেই ভাবনার বদল ঘটছে। শুধু তাই নয়, উপ নির্বাচনের পর কলকাতা পুরভোটেও কিছুটা হলেও পায়ের তলার হারানো মাটি ফিরে পেয়েছে লাল ব্রিগেড। সামনে হাওড়া বাদে বাকি পুরনিগমের নির্বাচন রয়েছে। তরুণ মুখের ভরসাতেই এগোতে চাইছে সিপিআইএম।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে সিপিআইএম। সেখানে নাম রয়েছে বছর চব্বিশের সুরজ কুন্ডুর। গা থেকে এখনও পড়াশোনার গন্ধ যায়নি। তিনি ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত শিলিগুড়ি পুরনিগমে কনিষ্ঠতম প্রার্থী।
ধাম ফালাকাটা হলেও জন্ম থেকেই সুরজের বাস শিলিগুড়ি শহরে। শিলিগুড়ির মহাকাল পল্লির বাসিন্দা সুরজ এসএফআই-এর জেলা কমিটির সদস্য। জানা গেছে, শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের কথাতেই ভোটে লড়তে রাজি হয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই ছাত্র।
সুরজের দাবি, শুধু রাজনীতিতে আগ্রহ থাকাতেই পলিটিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি। ভীষণ পছন্দ ক্রিকেট। তবে বর্তমানের বিরাট কোহলি বা রোহিত শর্মা নন, ২৪ বছরের এই যুবক ‘দাদা’ সৌরভ গাঙ্গুলির ফ্যান।
ভোটে লড়া প্রসঙ্গে সুরজ জানিয়েছেন, 'আমি জানতামই না যে প্রার্থী হব। শাখা কমিটি থেকে আমার নাম প্রস্তাব করা হয়। একদিন অশোক জেঠু (অশোক ভট্টাচার্য) ডেকে বললেন, বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে হবে। দলের কথা তুলে ধরতে হবে। বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়তে হবে।'
শিলিগুড়িতে পুরনিগমের দশ নম্বর ওয়ার্ড এতদিন বামেদেরই ছিল। ওই ওয়ার্ড থেকেই নির্বাচিত কাউন্সিলর কমল আগরওয়াল মেয়র পারিষদ হন। এখন তিনি বাম ছেড়ে তৃণমূলে। এবারের শাসক দলের হয়ে প্রার্থী হবেন। হেভিওয়েট প্রার্থীকে নিয়ে আগে থেকেই ভয় পেতে নারাজ সুরজ। তবে লড়াই কঠিন, মানছেন তিনি। দলত্যাগী কমল আগরওয়ালকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'শাসক দলের বঞ্চনা তুলে ধরে সৌরভের (সৌরভ গাঙ্গুলি) মতোই ছক্কা হাঁকাব। মানুষের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। আমরা ক্ষমতালোভী নই। তাই এখনও সিপিআইএমেই আছি। এর জন্য সাধারণ মানুষ আশীর্বাদ করবেন আমাকে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন