ভোটার লিস্টে শুধুমাত্র তৃণমূল সমর্থকদেরই নাম তোলা হবে, দাবি তৃণমূলেরই দক্ষিণ বর্ধমানের বিধায়ক খোকন দাসের। বিধায়কের এহেন মন্তব্যের জেরে কার্যত বেকায়দায় পড়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এক ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তৃণমূল বিধায়ককে এমনই বলতে শোনা গেছে। যার সত্যটা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের একবার চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূল বিধায়ক। দলীয় সভাতে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভোটার লিস্ট হবে। আবার আমরা চাই বলেই কাল যে বিজেপির লোকগুলো এসেছে, তার বাড়ি তুলে দেবো এটা কিন্তু ভুল করবেন না। কারণ হচ্ছে ভোটার লিস্টে নামটা তাদেরই তুলবেন, যাঁরা আমাদের পরিবার। এক্সট্রা কোনো লোক থাকার দরকার নেই’।
তিনি আরও বলেন, 'নতুন লোক তো আসছেই। নতুন লোক মানে তো বুঝতে পারছেন। সব বাংলাদেশের লোক আসছে। তাদের ভোটার নাম বেশি তুলতে গেলে আরও ক্ষতি। কারণ তারা তো হিন্দু হিন্দু করে বেশিটাই ভোট দিয়ে দেয় বিজেপিকে। তাই ভোট টা যেই তুলবেন, সে নতুন লোক আসলেও যাঁরা আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবে তাঁদেরই চেষ্টা করবেন'।
তৃণমূলের আরেক বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, ৯৮ শতাংশ জায়গায় পঞ্চায়েতে তৃণমূল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। রেখে ঢেকে খেলতে হবে। ২ শতাংশ বাদ না দিলে ভোটটাই না বাতিল হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন, যাঁরা ভোটার লিস্টের কাজ করছেন আমি রিক্যুয়েস্ট করব সবার নামটা তুলবেন। ১৮ বছর যাদের হচ্ছে বা হতে যাচ্ছে তাদের নামগুলো তুলবেন ইলেকশন কমিশনের নিয়ম মেনে। অন্য ধর্মের লোক বলে কারুর নাম দয়া করে বাদ দেবেন না।
ইতিমধ্যেই বিরোধিরা খোকন দাসের মন্তব্যের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তাঁরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কারুর নাম যেন না বাদ যায়। এদিকে বিধায়ক বলে দিলেন যারা তৃণমূল করে তাদেরই নাম ভোটার লিস্টে তোলা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস ভোটার লিস্টে কারচুপি করছে তা খোকন দাসের কথায় স্পষ্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন