৬১ হাজারেরও বেশি বুথ, স্পর্শকাতর মাত্র ৪,৮৩৪টি! কমিশনের নির্দেশিকায় ক্ষুব্ধ বিরোধীরা

নির্বাচন কমিশনের তালিকায় দেখা যাচ্ছে ৬১,৬৩৬টি বুথের মধ্যে মাত্র ৭.৮৪ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর। অর্থাৎ ৪,৮৩৪টি। সবথেকে বেশি স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা রয়েছে কোচবিহারে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাগ্রাফিক্স আকাশ
Published on

রাজ্যে ৬১ হাজারের বেশি বুথ রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৪,৮৩৪টি বুথকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্দেশিকার তীব্র বিরোধিতা করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সমালোচিত হচ্ছেন রাজীব সিনহা। তাঁর একের পর এক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্যপাল থেকে শুরু করে আদালতের প্রধান বিচারপতিও রাজীব সিনহার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এবার তাঁর স্পর্শকাতর বুথের পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের তালিকায় দেখা যাচ্ছে ৬১,৬৩৬টি বুথের মধ্যে মাত্র ৭.৮৪ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর। অর্থাৎ ৪,৮৩৪টি। সবথেকে বেশি স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা রয়েছে কোচবিহারে। এই জেলার ২৩৮৫টি বুথের মধ্যে ১৩ শতাংশের (৩১৭টি) বেশি বুথ স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

কোচবিহারের পরেই রয়েছে হাওড়া। হাওড়ার ৩০৩১টি বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর হিসেবে ৩৫৩টি চিহ্নিত করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ৫৪৩৮টি বুথের মধ্যে ৫৪১টি বুথ স্পর্শকাতর। পুরুলিয়ার ২৪০৫টি বুথের মধ্যে ২৫৩টি, মালদহে ৩০৩৫টির মধ্যে ২৭০টি, পূর্ব বর্ধমানের ৩৯৩৩টি বুথের মধ্যে ৩৪২টি বুথ স্পর্শকাতর। নদিয়ায় ৩৮৯৬ বুথের মধ্যে ৩৭৩টি, পূর্ব মেদিনীপুরের ৪১২৮টি বুথের মধ্যে ৩৫৬টি, বীরভূমের ২৭৬৮টি বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর হিসেবে ২২৮টি বুথকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩৮৬৭টি বুথের মধ্যে ৩০৫টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬২২৬টি বুথের মধ্যে ৫০২টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ৪৫৩২টি বুথের মধ্যে ২৫৮টি, হুগলির ৩৮৫১ বুথের মধ্যে ২০৯টি, উত্তর দিনাজপুরের ২১২৬ বুথের মধ্যে ১০৮টি, দার্জিলিং-র ৫১৪টি বুথের মধ্যে ২৭টি, আলিপুরদুয়ারে ১২১২ বুথের মধ্যে ২৫টি, কালিম্পং-এ ২৬৩ বিথের মধ্যে ৮টি, জলপাইগুড়ির ১৬৬০টি বুথের মধ্যে ৭৪টি, পশ্চিম বর্ধমানের ৯৯৮ বুথের মধ্যে ৪০টি, ঝাড়গামের ১০৪৫টি বুথের মধ্যে ৪৫টি, বাঁকুড়ার ৩১০০টি বুথের মধ্যে ১১৬টি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের ১২২৩টি বুথের মধ্যে ৮৪টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই নির্বাচন হবে। তবে এই বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে নাকি রাজ্য পুলিশ থাকবে তা নিয়ে এখনও জট কাটেনি। কয়েকদিন আগেই নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি নোটিশ দিয়ে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথের বাইরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে। কোথাও অশান্তি হলে সেখান যাবে। চাপের মুখে পড়ে সেই নির্দেশিকা পরে পরিবর্তন করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা
কুলতলিতে তৃণমূল প্রার্থীকে গুলি, অভিযোগ সিপিআইএম-এর বিরুদ্ধে

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in